জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে দেশে যে জনস্রোত শুরু হয়েছে তা কোন বাঁধ দিয়ে বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পর থেকে এই জনস্রোতে নতুন মাত্রা পেয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন মিলানায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে যুবদল।
মোশাররফ বলেন, পানির স্রোতকে যেমন বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে রাখা যায় না, তেমনিভাবে বেগম খালেদা জিয়া দেশে ফেরার পরে যে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে তাকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে একটি জরিপ করেছে। তাদর ( গোয়েন্দা সংস্থা) মতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৪০ টির বেশি আসন পাবে না। তাই তারা শক্তি দিয়ে জাতীয়তাবাদী নেতাদের অত্যাচার, জুলুম, নির্যাতন করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো আবারও একটি প্রতারণার নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু জনগণ আর কখনো সেই ধরনের নির্বাচন এদেশের মাটিতে হতে দেবে না।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী আগামী নির্বাচনের আগে উপযুক্ত সময়ে সহায়ক সরকারের রূপরেখা দিবেন। আমার সেই রূপরেখার আলোকে নির্বাচন করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানাব। সরকার যদি তা না মেনে আবারও প্রতারণার নির্বাচন করতে চায়, তাহলে জনগণ তাদের অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য রাজপথে নেমে তা প্রতিহত করবে।
“শেখ হাসিনা শুনে রাখুন, আপনার অধীনে কোন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, হতে পারে না”
ড. মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে। তা না হলে জনগণ রাস্তায় নেমে সেই দাবি আদায় করবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তি বিজয় অর্জন করবে।
যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতুল্লা বুলু, দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।