চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি: শীতের অনুভূতি কম

এ বছর শীত মৌসুম শুরু হলেও ডিসেম্বর মাসের স্বাভাবিক শীত পরিস্থিতি এখনও দেখা যাচ্ছে না। কিছুদিন আগে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছিল দেশে, তবে রাতের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শীত তেমন জাঁকিয়ে বসতে পারেনি। আবহাওয়াবিদরা বলছেন: বাতাসে হঠাৎই জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা যথেষ্ট কমতে পারেনি।

চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকে দেশের উত্তর ও উত্তর পশ্চিমের জেলা রংপুর দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহের সাথে শীত আসে।

তবে পরের তিনদিন জলীয় বাষ্পের বেড়ে গেলে শৈত্যপ্রবাহ সারাদেশে ছড়াতে পারেনি। বরং এ মাসের স্বাভাবিক সর্বনিম্ন তামপাত্রা কমেছে মাত্র এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অদিদপ্তরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ ড. মো.আবদুল মান্নান।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও বাতাসের গতি কম থাকায় উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমের ঠাণ্ডা বাতাস এদেশে প্রবেশ করেছে তুলনামূলক কম। ফলে ২০ ডিসেম্বর থেকে পর পর কদিন তাপমাত্রা কমতে পারেনি বরং কিছুটা বেড়েছে।

শীত মৌসুমের আগে আগে ডিসেম্বরের শুরুতে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ’ এর পর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ২০১৭ সালের পর এবং গত পাঁচ বছরের মধ্যে ব্যতিক্রম। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয় স্থিত হলে চলতি মাসের একেবারে শেষ দিকে শৈত্যপ্রবাহ আসবে; এবং জানুয়ারি মাসের শুরুতে মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ হয়ে উঠবে।