খুলনায় বিসিবি লাল ও সবুজ দলের মধ্যকার চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা দুই সেশন হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে। বাজে আউটফিল্ডের কারণে বিসিবি লাল দলের অধিনায়ক সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান আঘাত পাওয়ার পর খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ছাড়েন।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হয় ম্যাচ। বিসিবি সবুজ দল ৫৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলার পর মাঠ ছাড়েন সৌম্য-সাইফরা। বল ধরতে গিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে গেছে তরুণ দুই ক্রিকেটারের।
স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার কচি চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, ‘দুজন ক্রিকেটার কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। আউটফিল্ড ড্যাম্প(ভারী) থাকায় এমনটা হয়েছে বলে মনে হয়।’
জাতীয় লিগ শুরুর আগে দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সেরাদের নিয়ে ম্যাচটি আয়োজন করে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগ। জাতীয় দলের বাইরে বা পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটাদের অংশগ্রহণে ম্যাচ, তারপরও কেনো অনুপযোগী মাঠে খেলতে নামিয়ে দেয়া হল, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানতে চাইলে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ন্যাশনাল ম্যানেজার ই.এ.এম কায়সার চ্যানেল আই অনলাইনকে বললেন, ‘অনেকদিন ধরে খেলা না হওয়া ও বৃষ্টির কারণে কিছু জায়গা নরম ছিল। সেসব জায়গা ঠিক করা হচ্ছে। আগামীকাল সকাল ৯টাতেই খেলা শুরু হবে।’
এক সপ্তাহ আগে ভেন্যু নির্ধারিত হয়ে থাকলেও কেনো যথাযথ সংস্কার হল না সেটি নিয়ে কিউরেটরদের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। ভেন্যুটির প্রধান কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু ও সহকারী কিউরেটর নাজমুল ইসলাম ফোন ধরেননি।
ম্যাচে সবুজ দলের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। নুরুল হাসান সোহান ২৮ ও মেহেদী হাসান ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তিনটি উইকেট নেন অফস্পিনার আল-আমিন। তাসকিন আহমেদ, ইরফান সাজ্জাদ ও জুবায়ের হোসেন লিখন নেন একটি করে উইকেট।
লাল দল: সাইফ হাসান, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুল, আফিফ হোসেন, আল আমিন জুনিয়র, মেহেদি হাসান, তানভীর ইসলাম, মার্শাল আইয়ুব, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, আবু জায়েদ চৌধুরী, তানবীর হায়দার, তাসকিন আহমেদ, সানজামুল ইসলাম।
সবুজ দল: ইমরুল কায়েস, মিজানুর রহমান, জাকির হাসান, ফজলে মাহমুদ, নুরুল হাসান সোহান, সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম, আল আমিন হোসেন, মাহিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, এবাদত হোসেন, জুবায়ের হোসেন, ইফতেখার সাজ্জাদ।