২০১৫-২০১৬ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের বাস্তবায়ন বেশ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি। রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর পর্যালোচনা তুলে ধরেন সিপিডি সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ডক্টর দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এবারের বাজেটের বাস্তবায়ন ব্যক্তিগত বিনিয়োগ, কর আহরণ, বৈদেশিক সাহায্যের ব্যবহার, রপ্তানী, রেমিটেন্সসহ বিভিন্ন ফ্যাক্টরের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।
তবে নতুন বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। অর্থনীতিতে মুদ্রা প্রবাহের ক্ষেত্রে বাজেটে সংরক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। বাজেটের মধ্যমেয়াদী প্রাক্কলন বাস্তবভিত্তিক হয়েছে বলে মনে করে সিপিডি। তবে, উন্নয়ন ব্যয়ের চেয়ে অনুন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধির হারের প্রবণতা প্রস্তাবিত বাজেটে অব্যাহত রয়েছে।
বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ না বেড়ে তা বরং ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সিপিডি।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ না বেড়ে বরং প্রতিবারই তা কমে যাচ্ছে। এটা কখনোই ১ দশমিক ২ শতাংশের বেশি উঠতে পারছে না। কৃষি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় ব্যয় মাত্র বাজেটের মাত্র ৮ শতাংশ। এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাজেট বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৬’শ ৯৯ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ৪ দশমিক ৩০। চলতি অর্থবছরের চেয়ে দশমিক ৬৫ শতাংশ কম।
মোটা দাগে, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রকৃত অর্জনের পার্থক্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে বাজেটকে আরো বাস্তবভিত্তিক করা আহবান জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠনটির ফেলো।