রিজভী নেওয়াজ: এবারের বাজেটে অগ্রাধিকারে কোনও পরিবর্তন আসছে না। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে মানব সম্পদ উন্নয়ন, রপ্তানি সহায়ক নীতি, বিনিয়োগ আকর্ষণ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে অগ্রাধিকার। প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। গবেষণা সংস্থা এবং অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
প্রথম দিনের আলোচনায়, শক্তিশালী অর্থনীতির জন্য সরকারকে উদার রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা সংস্থা সিপিডি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ খরা কাটাতে রাজনীতি থেকে অস্বস্তি দূর করার পরামর্শও তাদের। গবেষণা সংস্থাগুলোর সঙ্গে আরেক আলোচনায় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার বাজেটের আকার হবে ৩ লাখ কোটি টাকার কাছাকাছি।
বরাবরের মতো সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ চলতি অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়ন এবং আগামী বাজেট কেমন হওয়ো উচিত সে ব্যাপারে মতামত দিয়েছে। সংস্থাটির মতে, গত দু বছরের মতো এবারো রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থাকবে ২৫ হাজার কোটি টাকা। তবে মূল্যস্ফীতি কমতে থাকা, শক্তিশালী বিনিময় হার, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত, জ্বালানি তেলের দাম বিশ্বজুড়ে কম থাকায় ভর্তুকি ব্যয় কম, রপ্তানি এবং প্রবাসী আয়ে ভালো অবস্থা স্বস্তিতে রেখেছে সরকারকে।
আগামী বাজেট নিয়ে প্রস্তাবনায় গত ৫ জানুয়ারি থেকে চলমান সহিংস রাজনীতির ক্ষতি নিয়ে একটা ধারণাও দিয়েছে সিপিডি। তাদের মতে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকে গত ৩ মাসে হরতাল-অবরোধে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। সংসদে প্রধানমন্ত্রী যে হিসাব দিয়েছেন, তা অবশ্য ১ লাখ কোটি টাকারও বেশি।