রাতুল পরিবারের একমাত্র সন্তান। চাকরি করেন নামকরা একটি মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে। আয়ের অঙ্কটা সিক্স ডিজিটের হলেও কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। ধার-দেনাও বেড়েছে অনেক। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘোষণার পর একটু হাঁপ ছেড়ে বাঁচার আশা করছেন কর্পোরেট দুনিয়ার এ তরুণ। কারণ, প্রস্তাবিত বাজেটে কমছে ক্যান্সারের ওষুধের দাম।
দু’বছর আগে সুখ-স্বচ্ছন্দে ভরপুর থাকা আমিন আলী-রাশেদা বেগমের সংসারে কালো ছায়ার মতো ভর করে ক্যান্সার নামক শব্দটি। সামান্য অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলে রক্ত পরীক্ষার পর ডাক্তার জানান রাতুলের বাবা আমিন আলীর শরীরে ভর করেছে মরণব্যাধী ব্লাড ক্যান্সার। তারপর থেকেই চলে আসছে তার চিকিৎসা।
মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে ব্যয়বহুল এ চিকিৎসায় পেনশনের টাকাতো গেছেই, উপরন্তু রাতুলের মাথার উপর দাঁড়িয়ে গেছে ঋণের বোঝা। তাই ক্যান্সরের ওষুধের দাম কমার খবরে রাতুলের পরিবারে স্বস্তির আভাস।
এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে ওষুধের কাঁচামাল, পোল্ট্রি সামগ্রী, স্থানীয় ফেব্রিক, স্টার্চ, ফ্রিজ, মুদ্রণ সামগ্রী, জিপি শিট, সিআই শিট, ব্লেড, চশমার ফ্রেম, দেশীয় মোটর সাইকেল, হাইব্রিড গাড়ি, টায়ার টিউব, দেশীয় সেলুলার ফোন, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, কর্নফ্লাওয়ার, বিদেশি কলম, কেক-বিস্কুটের দাম কমছে।