বাজারে কৃষক উৎপাদিত ধানের দাম আর ভোক্তা পর্যায়ে চালের দামে বিস্তর পার্থক্য। দু’ ক্ষেত্রেই চালের দাম বিবেচনা করা হলে পার্থক্য কমপক্ষে ২২ থেকে ২৪ টাকা। এর সিংহভাগই চলে যায় মধ্যসত্ত্বভোগীদের পকেটে।
বাজারে চালের দাম অনুপাতে কৃষকের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দাম সমন্বয় জরুরি বলছেন বিশ্লেষকরা।
রাজধানীর কয়েকটি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ মানুষের কাছে বেশি চাহিদা বিআর ২৮ চালের। খুচরা বাজারে এই চালের সর্বনিম্ন দাম ৪২ টাকা কেজি। আর ৫০ কেজি ওজনের এই চালের বস্তার মূল্য পড়ে দুই হাজার একশ টাকা।
খুচরা বাজারের সাথে পাইকারি বাজারের এই চালে দামের পার্থক্য ৫ থেকে ৬ টাকা।
পাইকাররা আড়তদার বা মিল মালিকদের কাছ থেকে এ চাল কেনেন ৩২ থেকে ৩৪ টাকা দরে। অর্থাৎ কৃষকের বিক্রি করা ধান চালে পরিণত করার প্রক্রিয়ায় দামে পার্থক্য দাঁড়ায় ১৪ থেকে ১৬ টাকা।
খুচরা বিক্রেতা, পাইকার এবং মিল মালিকদের বক্তব্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, বিআর ২৮ ধান কৃষক বিক্রি করছেন সাড়ে চারশ থেকে ৫শ টাকা মণ। অর্থাৎ কেজি প্রতি চালের দাম হিসেবে পাচ্ছেন ১৮ থেকে ২০ টাকা। এভাবে বাজার মূল্যের চেয়ে প্রতি কেজি চালে ২২ থেকে ২৪ টাকা কম পাচ্ছেন কৃষক। ধানের মান ভেদে এই পার্থক্য আরো বেশি।
বাজারে ধান ও চালের দামের এমন তারতম্যকে অস্বাভাবিক বলছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। সেটা হবে কিনা, না জানলেও আগের মতোই আশায় বুক বেঁধে ধান ঘরে তুলছেন কৃষক।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: