মুক্তির পর থেকেই ইমপ্রেস টেলিফিল্মের আলোচিত ছবি ‘অজ্ঞাতনামা’র জয়রথ শুরু। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চলচ্চিত্র পুরস্কার ভাগিয়ে নেয় তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ছবিটি। আর এবার শ্রেষ্ঠ ছবি ও শ্রেষ্ঠ পরিচালকসহ মোট পাঁচটি বিভাগে বাচসাস পুরস্কার-২০১৬ অর্জন করেছে ‘অজ্ঞাতনামা’।
মুক্তিযুদ্ধের আগে জন্ম হলেও ১৯৭৪ সাল থেকে পুরস্কার প্রদান শুরু করে বাচসাস। যদিও নানা কারণে গত ৫ বছর সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়ে। তাই সংগঠনটির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত পাঁচ বছরের পুরস্কার প্রদান করতে সংগঠনটি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের পাশাপাশি পুরস্কারও প্রদান করে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবনের প্রধান মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। যথারীতি ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হিসেবে সবচেয়ে দাপট দেখায় ‘অজ্ঞাতনামা’। শ্রেষ্ঠ ছবির পাশাপাশি শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কারও ভাগিয়ে নেন তৌকীর আহমেদ। এছাড়া ‘অজ্ঞাতনামা’য় শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (পার্শ্ব চরিত্র) ও শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে পুরস্কার অর্জন করেন পিন্টু ঘোষ ও ফজলুর রহমান বাবু।
এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেতা: চঞ্চল চৌধুরী (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী: নাবিলা (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ গায়িকা: সিঁথি সাহা (ভোলাত যায় না তারে), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র গ্রাহক: রাশেদ জামান চৌধুরী (আয়নাবাজি), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (পার্শ্ব চরিত্রে): মৌসুমী হামিদ (পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী-২)। জুরি বোর্ডের বিশেষ পুরস্কার : কুমার বিশ্বজিৎ, সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক (সারাংশে তুমি)।
১৯৬৮ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন চলচ্চিত্র সাংবাদিকদের এক সভায় গঠিত হয় ‘পাকিস্তান চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেটির নাম দাঁড়ায় ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি’, সংক্ষেপে ‘বাচসাস’।
ছবি: জাকির সবুজ