রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ওপর চালানো সন্ত্রাসী হামলার প্রধান সন্দেহভাজন জ্ঞান শংকর চাকমা সেনাবাহিনী-র্যাবের সঙ্গে ব্যাপক গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন।
বুধবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুলাতলি নামক স্থানে মিয়ানমার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন: জ্ঞান শংকর চাকমা নামে একজনের মরদেহ আমরা পেয়েছি। সে বাঘাইছড়ি হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন বলে আমাদের ধারণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর আহমেদ বলেন: জ্ঞান শংকর চাকমা পার্বত্য চট্টগ্রামের সক্রিয় একটি সশস্ত্র সংগঠনের দুর্ধষ সন্ত্রাসী এবং রাঙ্গামাটি এলাকার চীফ কালেক্টর।
সূত্র জানায়, বাঘাইছড়ির হামলায় অংশগ্রহণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে আরও নাশকতা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ জন্য তারা অত্যাধুনিক অস্ত্র কিনে আবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেন।
‘‘সন্ত্রাসীদের একটি দল এক পর্যায়ে সেনা টহলের তাড়া খেয়ে পালানোর সময় র্যাবের পাতা ফাঁদে প্রবেশ করে এবং ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তা বাহিনীর গোলাগুলির মুখে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে থাকে।
পরবর্তীতে, ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে একটি মৃতদেহ সহ ৭ টি এসএমজি, ৪৩৭ রাউন্ড গুলি ও ১১ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। মৃত ব্যক্তির পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যায় তার নাম জ্ঞান শংকর চাকমা।’’
ঘটনার পর নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসীদের ধরতে যৌথ অভিযান শুরু করে, যা এখনো চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ির সাজেকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে ফেরার পথে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। হামলায় সাতজন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন ১৯ জন।