মাছের ঘেরের পাড়ে কুল চাষ করে সাড়া ফেলেছেন বাগেরহাটের এক চাষী।
প্রায় ২৭ একর জমিতে কুল চাষ করে নিজে লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন এলাকার অনেক লোকের ।
হাতে গোনা কয়েকটি আপেল কুল ও নারকেল কুলের চারা লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন বাগেরহাটের গোটাপাড়া ইউনিয়নের নারায়ণ চন্দ্র হালদার।
পরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মাছের ঘেরের বেড়িবাঁধের ২৭ একর জমিতে শুরু করেন কুল চাষ।
নারায়ণ চন্দ্র হালদার বলেন, প্রথম আমি ১৮টি কুল গাছ দিয়ে চাষ শুরু করি, এখন আমার ১৮০০ কুল গাছ আছে। গতবারের চেয়ে এবার চাষে একটু কম হবে। তবে বাজার ভালো রয়েছে।
তার উৎপাদিত কুল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে আশপাশের জেলায়। এলাকার লোকজন নারায়ণ চন্দ্রের বাগানে কুল সংগ্রহের খন্ডকালীণ কাজ করে আয়-রোজগার করছেন।
একজন শ্রমিক বলেন, আমরা ভোর পাঁচটা থেকে কাজ করি। ২০-২৫ জনে কাজ করি। প্রতি মনে আমাদের ১৫০ টাকা করে দেন।
মাছের ঘেরের পাড়ে কুল চাষ করতে চাষী নারায়ণ চন্দ্রকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, আশে পাশের অনেক চাষী মাছের ঘেরের পাশে কুল, শবজি ইত্যাদি সমন্বিতভাবে চাষ করে লাভবান হচ্ছে। আমরাও তাদের নানাভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাহায্য করছি।
কুল চাষে তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন বিভিন্নজাতের কুল চাষে।