ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণটি বিশ্বের ইতিহাসের একটি অনন্য সাধারণ ভাষণ। এই ভাষণের বহুমাত্রিক বিশেষত্ব রয়েছে। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণ। এই স্বল্প সময়ে তিনি ইতিহাসের পুরো ক্যানভাসই তুলে ধরেন। তিনি তাঁর ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, গোলাগুলি ও হত্যা বন্ধ করে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকান্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।
মঙ্গলবার ৭ মার্চ ভাষণের ৪৬ বছর পূর্ণ হল। এই ভাষণ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে চলছে স্মৃতি চারণ ও শ্রদ্ধানিবেদন। অনেকে এই দিনটি নিয়ে পোস্ট ও ছবি শেয়ার দিচ্ছেন।
তেমনই একজন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত।
তিনি মনে করেন, ৭ মার্চের এই ভাষণ বাংলা সাহিত্যের একটি সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এটি শুধুমাত্র একটি ভাষণ নয়, এটি বাঙ্গালী জাতিস্বত্ত্বার রূপ নির্নয় এবং অস্তিত্ত্ব পুনরূদ্ধারের মহাকাব্য। এটি বাংলা ও বাঙ্গালীর বঞ্চনা, হতাশা এবং সেখান থেকে জন্ম নেয়া ক্রোধ ও সর্বপরি আত্বপ্রত্যয়ের ছোট গল্প।
তার ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, এটি বাঙ্গালীর মুক্তির সংগ্রামের ভবিষ্যৎ চিন্তার উপন্যাস। এই মহাকাব্যের কবি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি জীবন বাজী রেখে পরাধীন বাঙ্গালীর জন্য নিজের রক্ত দিয়ে যে কবিতাটি লিখেছেন তাঁর নাম ‘স্বাধীনতা’। ৭ই মার্চের ভাষণ সেই স্বাধীনতার বলিষ্ঠ উচ্চারণ।