বাংলাদেশের বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবার ‘বাংলা চ্যানেল’ পাড়ি দিতে সাঁতার দিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী লারিসা। তার সঙ্গে থাকবেন আর ৭৮ জন সাঁতারু।
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের একটি স্রোতধারা ‘বাংলা চ্যানেল’ নামে পরিচিত।
সোমবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহ্পরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এই সাঁতার শুরু হয়েছে। ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাঁতার শেষ হবে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে।
সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
রাজধানী একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী সৈয়দা লারিসা রোজেন। তার বয়স ১০ বছর ৪ মাস।অন্যদের মতো তার সঙ্গে রয়েছেন মা, বাবা ও বড় ভাই। তবে লারিসার সঙ্গে সাঁতারে অংশ নিচ্ছেন বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ান।রেসকিউ দলের সঙ্গে নৌকায় রয়েছেন মা।
ছবি:ছোট্ট লারিসা বাবা সৈয়দ আক্তারুজ্জামান ও বড় ভাই সৈয়দ আরবিন আয়ানের সাথে
ছোট্ট লারিসা সফল হলে বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া কনিষ্ঠ সাঁতারু হবে সে। কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে লারিসা জানায়, ‘একটু ভয় ভয় করছে। তবে আশা করি আমি পারব। ইচ্ছা শক্তি থাকলে সবই সম্ভব। সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন।’
ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার জানান, মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারে সাঁতার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১৭ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৮বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার এককভাবে রেকর্ড গড়বেন বলে আশা করছেন। এটি পাড়ি দিতে ৪/৫ ঘণ্টা সময় লাগে।
তিনি জানান, এবার সর্বোচ্চ ৭৯ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। বিশেষ কারণে মিশু বিশ্বাস নামের একজন উপস্থিত হতে পারেনি। গত বছর ৪৩ জন সাঁতারু অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সফল হয়েছিলেন।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালের ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল হক সিনা ও সালমান সাইদ।
সাঁতারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেডের ব্র্যান্ড ফরচুন। রেসকিউ পার্টনার হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। অংশীদার হিসেবে আরও আছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড, ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড, ষড়জ, ভিসা থিং ও স্টুডিও ঢাকা।