দারুণ লড়াইয়ের পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৪৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বোলিং নিয়ে আক্ষেপ করে গেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। অধিনায়ক বলেছেন, ৩০-৪০টা রান কম দিতে পারলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারতো। মাশরাফীর কথা ধরে টাইগারদের একধাপ এগিয়েই থাকলেন মাইকেল হাসি। অজিদের সাবেক ব্যাটসম্যানের মতে, বোলিংটা আরেকটু বৈচিত্র্যময় হলেই ভবিষ্যতে সাফল্য আসা শুরু করবে বাংলাদেশের দুয়ারে।
প্রতিটি ম্যাচ শেষেই খুঁটিনাটি নিয়ে ক্রিকইনফোয় বিশেষ বিশ্লেষণ করতে বসে যান একাধিক সাবেক ক্রিকেটার। বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের পর সে দায়িত্বটা পড়েছিল হাসির কাঁধে। বিশ্লেষণে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে মুগ্ধতা লুকাননি তিনি।
‘অস্ট্রেলিয়া হয়তো ম্যাচ শেষে খুশি হবে। তবে বলতেই হবে বাংলাদেশ কঠিন এক লড়াই উপহার দিয়েছে। যেভাবে ওরা রান তাড়া করে খেলল, সেজন্য ওদের কুর্ণিশ করতেই হয়। বিশাল এক রান তাড়া করতে হতো। কিন্তু বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত লড়াইটা চালিয়ে গেল। তারা আশা ছাড়েনি, লড়াইটা চালিয়ে গেছে। একটা সময়ে মনে হল অস্ট্রেলিয়ানরা কিছুটা উদ্বিগ্ন।’
ম্যাচে শেষঅবধি ৪৮ রানে হারলেও একটা সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সমানে সমান অবস্থানেই ছিল বাংলাদেশ। ৪০ ওভার শেষে যেখান অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ২৫০, বাংলাদেশের সেখানে রান ছিল ২৪৫। শেষ ১০ ওভারে রানের ব্যবধানটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। হারলেও একটা পর্যায় পর্যন্ত অজিদের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারাটা হাসির চোখে বাংলাদেশের জন্য দারুণ প্রাপ্তি।
‘যদি দুই দলকে পাশাপাশি রাখা হয়, তাহলে আমি বলবো বাংলাদেশের ব্যাটিং ভীষণ উন্নতি করেছে। একটা সময় তো তারা অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশিই ছিল।’
ব্যাটিংয়ে উন্নতি ধরে রেখে বাংলাদেশকে বোলিংয়ের দিকেও নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন হাসি। তার মতে কয়েকটা জায়গায় উন্নতি করতে পারলে ভবিষ্যতে সেরাদের কাতারে উঠে যাবে টাইগাররা।
‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশের মধ্যে মূল পার্থক্যটা ছিল মূলত বোলিংয়ে। বাংলাদেশকে অবশ্যই তাদের বোলিংয়ে উন্নতি করতে হবে। দলে কিছু রহস্যময় বোলার আনতে হবে, গতি বাড়াতে হবে। সেগুলো হলেই আমি বিশ্বাস করি তারা খুব দ্রুতই র্যাঙ্কিংয়ে দারুণ উন্নতি করবে।’