সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ২১ রানে জয়ের ম্যাচটা থেকে এশিয়ান দলগুলোকে শিক্ষা নিতে বলেছিলেন পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতার। সরফরাজ আহমেদরা তার আহ্বান শুনেছেন কিনা জানা যায়নি। তবে বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে যে একটা ভালো শিক্ষাই নিয়েছে পাকিস্তানিরা সেটা বোঝা গেল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের ব্যাটিং দেখেই!
নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৩৪৮ রানের বিশাল রানের পুঁজি গড়েছে পাকিস্তান। জিততে হলে বিশ্বকাপের রেকর্ড ভাঙতে হবে ইংলিশদের। তাদের বিপক্ষে ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের ৩২৯ রানের জয়টাই এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সেরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১০৫ রানে অলআউট হওয়ার পর চারিদিক থেকে সমালোচনার ঝড়ে বেশ কাবু হয়ে ছিলেন পাকিস্তানিরা। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য টেন্টব্রিজকেই বেছে নিলেন মোহাম্মদ হাফিজ-বাবর আজমরা। তাতে অবশ্য উইকেটেরও কিছুটা অবদান আছে!
এখানে দুবার ওয়ানডের সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড গড়েছে ইংলিশরা। প্রথমটি ২০১৬ সালে এই পাকিস্তানের বিপক্ষেই। সেবার মাত্র ৩ উইকেটে ৪৪৪ রানের বিশাল সংগ্রহ তুলেছিল ইয়ন মরগানের দল।
সেই রেকর্ড নিজেরাই ভেঙেছে ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের ছাতু বানিয়ে গত বছর ৬ উইকেটে ৪৮১ রান তুলে ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা ইনিংসটি আরো একবার নিজেদের করে নিয়েছে দলটি।
ঠিক সেই উইকেটটাই বরাদ্দ ছিল ইংল্যান্ড-পাকিস্তান ম্যাচের জন্য। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে দারুণ ব্যাট করলেন পাকিস্তানিরা। সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরি পাননি কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। তবে সবার মিলে মিশে ব্যাটিংটাই ৩৩০ রানের সংগ্রহ পাইয়ে দেয় টাইগারদের। সেঞ্চুরি পাননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরাও। তবে তিন ফিফটি ও সবার মিলে মিশে ব্যাটিংয়ে রান পাহাড় দাঁড় করিয়ে ফেলেছে পাক ব্যাটসম্যানরা।
৬২ বলে সর্বোচ্চ ৮৪ করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ। তার আগে ৬৩ করে আউট হয়েছেন বাবর আজম। ভুঁড়ি নিয়ে খোটা শোনা অধিনায়ক সরফরাজ এদিন সাজঘরে ফিরেছেন ৪৪ বলে ৫৫ রান।
ইংলিশদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও মঈন আলি। বাকি ২ উইকেট গেছে মার্ক উডের পকেটে।