রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ঘরে ঢুকে নৃশংসভাবে ব্লগার নিলয়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজম (সিপিজে) এবং যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান।
এক বিবৃতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, বাংলাদেশের লেখক ও ব্লগার নিলয় চট্টোপাধ্যায়ের কাপুরুষোচিত হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আমাদের সমর্থন আছে বাংলাদেশী মানুষদের জন্য।
এতে আরো বলা হয়, নৃশংস উগ্রপন্থা রোধ করার জন্য একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে। আমরা সেই সব বাংলাদেশীর পাশে আছি। যারা এমন হিংস্র কাজের বিরোধিতা করে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে।
এর আগে নিলয় হত্যায় প্রতিক্রিয়া জানায় জাতিসংঘও। সংস্থাটির রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর রবার্ট ডি ওয়াটকিনস এই হত্যাকাণ্ডকে ‘অন্য মতের কর্মীর বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ এবং সহ্যক্ষমতার উপর আঘাত’ হিসেবেই অভিহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করে নিলয়সহ অন্য ব্লগারের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনারও আহবান জানান।
দেশের জনগণকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে আরো মনোযোগ দিতে হবে বলেও মন্তব্য করে জাতিসংঘ।
ব্লগার নিলাদ্রী চট্রোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয়ান পার্লামেন্টের সদস্য সাজ্জাদ করিম। বিজিএমইএর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ব্লগার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করা না গেলে এ ঘটনা আরও ঘটবে।
এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও। বাংলাদেশের প্রশাসনকে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের কঠোর জবাব দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
তাদের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি বলেছে, ভিন্নমতের বিরুদ্ধে এ ধরণের ঘৃণ্য অপরাধ মেনে নেয়া যায় না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
তাছাড়া যুক্তরাজ্য এবং কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিজমও এই ঘটনায় নিজেদের তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ সরকারকে নিলয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করে ন্যায়বিচারের দাবি জানায় সিপিজে।