এদিকেও সাকিব। ওদিকেও সাকিব। যখনই প্রয়োজন ত্রাতা হয়ে হাজির হচ্ছেন মিরপুর টেস্টে। দ্বিতীয় দিন অষ্টম উইকেট জুটিতে অ্যাশটন অ্যাগার-প্যাট কামিন্স ৪৯ রান যোগ করে যখন বাংলাদেশের অপেক্ষা বাড়াচ্ছিলেন, তখন ওই সাকিব কামন্সিকে বোল্ড করে লিডের সম্ভাবনা জোরালো করেন।
অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ২১৭ রানে থেমেছে। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৬০। সাকিব পাঁচ উইকেট পেয়েছেন। এই নিয়ে সব টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এই রেকর্ডে তিনি ইতিহাসের চতুর্থ খেলোয়াড়।
বাংলাদেশ এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেলেছে। তার তিনটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার। এক ম্যাচে লিড নিতে পেরেছিল টাইগাররা।
এদিন ১২৪ রানের ভেতর সাত উইকেট ফেলে দেয়ার পর অ্যাগার আর কামিন্সকে ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে বাংলাদেশ। এর ভেতর শফিউল সহজ একটি ক্যাচ ছাড়েন। চা বিরতি পর্যন্ত ওই দুজন ১৯৩ পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফিরতেই সাকিবের ডেরায় নিজেকে সপে দেন কামিন্স।
দ্বিতীয় দিনের সকালে মিরপুরে ফিরে আসে প্রথম দিনের বিকেল। যাকে বলে যেখানে শেষ, সেখান থেকে শুরু। এদিন প্রথম সেশনেও তিনটি উইকেট তুলে নেন মিরাজ, সাকিবরা।
আগেরদিন একটি করে উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব, মিরাজ। একটি ছিল রানআউট।
সোমবার স্মিথকে (8) দিয়ে শুরু করেন মিরাজ। প্রথমদিন বিকেলে ঝড়ের মুখে ব্যাট করতে নেমে পরিস্থিতি সামলে নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক। দ্বিতীয় দিন সকালেও পরিস্থিতি নিজের করতে যেয়ে নিজেই গরম হতে চেষ্টা করেন। জিততে চান মানসিক যুদ্ধে। দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে হাঁকাতে যান। বল গ্রিপটার্ন করে উইকেট খেয়ে নেয়!
এরপর তাইজুল ফেরান হ্যান্ডসকম্বকে (৩৩)। ডিফেন্স করতে যেয়ে পেছনের পায়ে লাগিয়ে আবেদন দেখেই হাঁটা দেন। বল স্কিড করে হাঁটুর নিচে লাগে। তাতেই হ্যান্ডসকম্ব বুঝে নেন রিভিউ নেয়ার দরকার নেই।
এরপর লাঞ্চের ঠিক আগে সাকিব ফেরান রেনশকে (৪৫)। অফস্টাম্পের উপরের বল খেলতে যেয়ে কানায় লাগান। বল যায় শর্টস্লিপে দাঁড়ানো সৌম্যর কাছে। সৌম্যর হাত ছুঁয়ে বল সোজা তার মাথার উপর উঠে যায়। সৌম্য হাঁটুগেড়ে বসা অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় তালুবন্দি করেন।
শেষদিকে সাকিবের দাপটের মুখে লিড হজম করেই থামতে হয় অতিথিদের।
ছবি: সাকিব উল ইসলাম