মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অনন্য নজির হিসেবে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের জনগনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশানের মহাসচিব ড. হুসেইন শিবলি বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত চিকিৎসা সহায়তা ফিলিস্তিনি জনগণের মানসিক শক্তিকে দৃঢ় করবে।
আজ মঙ্গলবার জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য সাহায্য হিসেবে প্রেরিত ঔষধ সামগ্রী হস্তান্তর করা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনিদের কাছে সহায়তা পৌঁছানোর জন্য জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশানই একমাত্র সংস্থা যারা জর্ডান সরকার ও দখলদার ইসরাইলি সরকারের সাথে সমন্বয় করে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত সহায়তা ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে পৌঁছে দেয়।
জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান জর্ডানে ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জর্ডান হাশেমাইট চ্যারিটি সংস্থার মহাসচিবের কাছে বাংলাদেশ সরকারের এ সাহায্য হস্তান্তর করেন।
ড. হুসেইন শিবলি ঔষধ সামগ্রি পাঠানোর জন্য বিকন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রুপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক উদারতার কথা উল্লেখ করে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ফিলিস্তিন দূতাবাসের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জনক শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাতের সাথে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মানবিক আদর্শের দুই মহান নেতার উত্তরসুরিরা আজও উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ধরে রেখেছেন। বাংলাদেশ তার আদর্শিক অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি তার সহযোগিতা অব্যহত রাখার জন্য ফিলিস্তিন জনগণের পক্ষ থেকে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের বিকন গ্রুপ থেকে প্রাপ্ত এই ঔষধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়ের পর থেকেই ফিলিস্তিন বিষয়ে বাংলাদেশ সর্বদা সোচ্চার এবং ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সবসময়য়েই সহমর্মিতা পোষণ করে আসছে।
‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘে প্রদত্ত তার প্রথম ভাষণেও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি একান্বতা পোষণ করে সকল দখলদারিত্বের অবসানের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারই ধারাবাহিকতায় ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছেন। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয় এই মূলমন্ত্রের আলোকে বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত করে আসছে। বিশ্বের সকল নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের প্রতি বাংলাদেশের রয়েছে অকুণ্ঠ সমর্থন এবং বাংলাদেশ সকল ধরনের দখলদারিত্বের অবসান কামনা করে।’
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রদত্ত সহায়তা ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য জর্ডান সরকার এবং হাশেমাইট চ্যারিটি ফাউন্ডেশানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
রাষ্ট্রদূত ঔষধ সামগ্রীর সাথে নগদ অর্থ সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত ৫০ হাজার ডলার ফিলিস্তিন সরকারের রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ইতিমধ্যে জমা হয়েছে মর্মে অবহিত করেন।