স্বাগতিক ওমানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে ১৫৩ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্ব সুপার টুয়েলভে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখতে বাকি কাজটা করতে হবে এখন বোলারদের।
ওপেনার নাঈম শেখের ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে দেড়শর পথ পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। বাঁহাতির ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও চারটি ছয়ের মার।
ওমান পেসার বিল্লাল খান ও ফাইয়াজ বাট তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন কলিমউল্লাহ।
২০ ওভারে দেড়শ পেরিয়ে অলআউট হয় বাংলাদেশ। মাস্কাটের আল আমেরাত স্টেডিয়ামে শুরুর বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে নাঈম ও সাকিব আল হাসান দেখিয়েছিলেন আরেকটু লড়াকু সংগ্রহের আশা।
কিন্তু দলীয় শতকের পর তৃতীয় উইকেট জুটিও যখন তিন অঙ্কের পথে, তখন দুর্ভাগ্য সঙ্গী হয় বাংলাদেশের। সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন বাঁহাতি ব্যাটার। ২৯ বলে ৪২ রানে থামেন সাকিব, মারেন ৬টি বাউন্ডারি।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ওমান পেস আক্রমণ সামলাতে বেশ হিমশিম খেতে হয় নাঈম ও লিটন দাসকে। ডট বলের বৃত্তে আটকে পড়েন দুই ওপেনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে লিটন (৬) এলবিডব্লিউ হন। ব্যাটিং পজিশনে অদল বদল করে খুব একটা লাভ হয়নি।
তিনে নামা শেখ মেহেদী রানের খাতা খোলার আগেই কট অ্যান্ড বোল্ড হন। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ২৯ রান।
দলীয় ফিফটি পূর্ণ করতে খেলতে হয় ৫০ বল (৮.২ ওভার)। পরের ৫০ অবশ্য আসে মাত্র ২৯ বলে। এসময় নাঈম-সাকিব জুটি খেলেন দুর্দান্ত। ৮০ রানের জুটি থামে সাকিবের রান আউটে।
নুরুল হাসান সোহান পাঁচ ও আফিফ হোসেন নামেন ছয় নম্বরে। তারা কার্যকরী হতে পারেননি মোটেও। দ্রুত তাদের উইকেট পতনের পর স্লগে ব্যাট চালানোর দায়িত্ব কাঁধে পড়ে মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আজও হতাশ করেন মুশফিক। ৬ রান করে কাট শটে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে।
ক্রিজে এসে পরের বলে সাইফউদ্দিন ক্যাচ দেন লংঅফে। পেসার ফাইয়াজ জাগান হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। মাহমুদউল্লাহ শেষটা সামলেছেন মোটামুটি। তাতে দেড়শ পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। ১০ বলে ১৭ রান করেন অধিনায়ক। ১১ ব্যাটারের মধ্যে কেবল তিনজন পেরিয়েছেন দুই অঙ্ক।