মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরাকের পোশাক ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন ইরাকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু মাকসুদ এম. ফরহাদ।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএইএ ভবনে সংগঠনটির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ তথ্য জানান তিনি। এসময় বিজিএমইএর সহ-সভাপতি (অর্থ) মোহাম্মদ নাছির উপস্থিত ছিলেন।
ফরহাদ বলেন, ইরাক মূলত তুরস্ক ও চীন থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মানের বিষয়ে ইরাকের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থেকে সাধারন জনগণের ধারনা অত্যন্ত ইতিবাচক এবং তারা এই পোশাক পেতে আগ্রহী।
সেজন্য ইরাকের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানী করতে চান। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পোশাক ব্যবসায়ীদের সাথে ইরাকের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক তৈরি হলে তা ইরাকে তৈরি পোশাকের বাজার সৃষ্টিতে সহায়তা করবে। এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিজিএমইএ সভাপতিকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ নিরাপদ কর্মপরিবেশে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পোশাকপণ্য প্রস্তুত করে থাকে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন সবুজ শিল্পায়নেও অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রীন বিল্ডিং কাউন্সিল থেকে লীড সনদপ্রাপ্ত ১০টি কারখানার মধ্যে ৭টি কারখানাই বাংলাদেশের। সংস্থাটি থেকে বাংলাদেশের ৬৭টি কারখানা লীড সনদ পেয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৩টি প্লাটিনাম কারখানা। আরো ২৮০টি কারখানা সনদ পাওয়ার পাইপলাইনে (পথিমধ্যে) রয়েছে।
সিদ্দিকুর রহমানের বলেন, ইরাকে তৈরি পোশাকের বাজার বাড়ানোর বিষয়ে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হবে।
ইরাকের বাগদাদে বাংলাদেশ মিশনে বাংলাদেশী পণ্য প্রদর্শনীর জন্য একটি প্রদর্শনী কেন্দ্র রয়েছে, সেখানে বিজিএমইএর মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়মিত পাঠানো হচ্ছে।
ফরহাদ আরও বলেন, ১৯৮১ সালে ইরাক ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে সরকারী পর্যায়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিলো। বাংলাদেশ ও ইরাক উভয় পক্ষ মনে করে দীর্ঘদিন পূর্বে স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্বারকটিকে বর্তমানে আরো সময়োপযোগী করতে হবে।
এ ব্যাপারে অতি শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি নির্বাহী সভা হবে বলে জানান তিনি।