পাটের সোনালি দিনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে বাংলাদেশে। বেশ কয়েক বছরের সরকারি-বেসরকারি প্রচেষ্টায় পাট চাষের সম্ভাবনা কৃষকদের উজ্জীবিত করেছে। বাংলাদেশের সোনালী আঁশ, পাট নিয়ে কাজ করছে সুইডেনের বেসরকারী প্রতিষ্ঠান জুটবরগ। বাংলাদেশে সফররত জুটবর্গের সিইও ক্রিস্টিনা ওসটারগ্রেন, বোর্ড অফ চেয়ারম্যান এলস মেরি মালমেক ও জুটবর্গের অ্যাম্বাসেডর সুইডেনের বিখ্যাত বেজ গিটারিস্ট ম্যাগনাস রোজেন শনিবার চ্যানেল আই কার্যালয়ে দেখা করেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক এবং উন্নয়ন সাংবাদিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজের সঙ্গে।
পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যবহার ও বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফসল পাটের বহুবিধ ব্যবহার নিয়ে সুইডেনের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জুটবরগ-এর গবেষকরা কাজ করছেন ২০১৩ সাল থেকে। উদ্দেশ্য শিল্পকারখানা, পরিবহন, ফ্যাশন ও প্যাকেজিংসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য পাটের নতুন নতুন পণ্য উদ্ভাবন এবং জনগণকে উৎসাহিত করা। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে আগ্রহী গবেষকরা বলছেন, কেবল উৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপাদন নয়, কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায় সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তারা। একই সাথে কৃষকের সাথে বাজার ব্যবস্থাপনায় সংযোগ সৃষ্টির পেছনে শাইখ সিরাজের প্রশংসা করে জুটবর্গ এর গবেষকরা জানান পাটচাষীদের’ও প্রয়োজন ন্যায্যমূল্য এবং একটি মধ্যস্বত্ত্বভোগীর দৌরাত্মমুক্ত বাজার কাঠামো।
জুটবর্গের সিইও ক্রিস্টিনা ওসটারগ্রেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে পাট হতে পারে অন্যতম হাতিয়ার। আমরা চাই পরিবেশ বান্ধব পাটকে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিতে।
এলস মেরি মালমেক বলেন, পাট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা দিয়ে পরিবেশের কোনরূপ ক্ষতি সাধন না করেই উৎপাদন করা সম্ভব। যেমন ধরুন অটো মোবাইল ইন্ড্রাস্ট্রি, ইন্টারিওর ডিজাইন, স্পিনিং মিলে পাটের প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। আমি মনে করি পাটের এসব ব্যবহারকে জনপ্রিয় করতে পারলে যেমন পরিবেশ উন্নত হবে, তেমন লাভবান হবে পাটচাষীরাও।
বেজ গিটারিস্ট ম্যাগনাস রোজেন গিটার বাজিয়ে শোনান।
কৃষিপণ্য হিসেবে বাংলাদেশের পাটের উন্নয়ন এবং এর আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে গবেষণা অব্যাহত রেখেছে জুটবর্গ।
বাংলাদেশের পাট নিয়ে চ্যানেল আইয়ের ‘হৃদয়ে মাটি ও মানুষ’ অনুষ্ঠানের প্রশংসা করেন তারা।