স্বাধীন সার্বভৌম ‘বাংলাদেশ’ নামটির ঘোষণাও দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশের খেতাব। তার ঠিক ৪২ বছর পর বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে আসলেন বঙ্গবন্ধুরই কন্যা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জন্ম থেকে যা কিছু অর্জন তা বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাত ধরেই এসেছে এই দেশে।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন নিজের ফেসবুকে পেজে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করেন।
আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন: ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্ম। মধ্যখানের ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয়দফা এবং ৬৯’র গণ অভ্যুথান। বাংলাদেশের অভ্যূথানের এই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আর আওয়ামীলীগ ছাড়া কে ছিলো ?
স্বাধীন সার্বভৌম দেশটির নাম হবে “ বাংলাদেশ” – এই নামটি কে দিয়েছিলেন তা কি জানেন কেউ ? ১৯৭০ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে স্বাধীন দেশটির নাম হবে “বাংলাদেশ” – এই ঘোষণাও দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে বিশ্বমোড়লরা বলেছিলো তলাবিহীন ঝুড়ি। অপমানজনক এই অপবাদ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে মাত্র তিন বছর সময় নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ধ্বংসস্তূপের উপরের দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু এনে দিয়েছিলেন স্বল্পোন্নত দেশের খেতাব।
এর ৪২ বছর পর বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নিয়ে আসলেন বঙ্গবন্ধুরই কন্যা শেখ হাসিনা। স্বাধীনতার পর ৩৭ বছরে অর্থাৎ ২০০৮ সাল পর্যন্ত মাথা পিছু আয় ছিল মাত্র ৫০০ ডলার । আর মাত্র ৯ বছরে শেখ হাসিনা মাথাপিছু আয় নিয়ে গেছেন ১৬৫০ ডলারে। উন্নয়নশীল দেশ হতে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দরকার ছিলো ১২৫০ ডলার।
ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নত দেশ হিসাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।বাংলাদেশের জন্ম থেকে যা কিছু অর্জন তা বঙ্গবন্ধু পরিবারের হাত ধরেই। আর যারা ক্ষমতায় এসেছেন তারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চেয়ে নিজেদের ভোগ বিলাস ও ভাগ্য পরিবর্তনেই বেশি ব্যস্ত ছিলো।