ফেক নিউজ যখন বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তখন সঠিক তথ্য প্রকাশ করাই গণমাধ্যমের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন পাঠকেরা। আবার কেউ কেউ মনে করেন: সবার কথা সমানভাবে তুলে ধরাই গণমাধ্যমের বড় চ্যালেঞ্জ।
বৃহস্পতিবার ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে চ্যানেল আই অনলাইনের ফেসবুক পেজে প্রশ্ন রাখা হয়, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমের প্রধান চ্যালেঞ্জ কী বলে আপনার মনে হয়?’ এমন প্রশ্নের জবাবে পাঠকরা নিজেদের মতামত দিয়েছেন।
স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার করা, হলুদ সাংবাদিকতা মুক্ত থাকা, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা, সবার কথা সমানভাবে তুলে ধরা, চাটুকারিতা/দালালি বন্ধ করাসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথাও উঠে এসেছে তাদের মন্তব্যে।
ফয়সাল মাহমুদ নামের একজন পাঠক মনে করেন, সঠিক তথ্য প্রকাশ করাই গণমাধ্যরেম প্রধান চ্যালেঞ্জ। পরিপূরক আরেকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে সাব্বির আহমেদ লিখেছেন, গুজব প্রতিরোধ করাই চ্যালেঞ্জ।
মো. শরিফুল ইসলাম লিখেছেন: গণমাধ্যম এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, সবার কথা সমানভাবে তুলে ধরা।
সংবাদ কর্মীদের দায়িত্বহীনতার কথা তুলে ধরে মো. জাকির লিখেছেন: চাটুকারীতা বাদ দিয়ে, সাধারণ মানুষের কথা তুলে ধরা। এই মূহুর্তে সবচেয়ে বেশি অদক্ষতার পরিচয় মেলে সাংবাদিকদের কাছ থেকেই।নিজেদের দায়িত্বের বাইরে গিয়ে উপস্থাপনামূলক প্রশ্ন করে। যার জন্য শাসক কিংবা শোষক কেউই প্রকৃত ভাবে তাদের অবস্থান তুলে না ধরে, অন্যায় কাজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
গণমাধ্যম পক্ষপাত দুষ্ট, এমন অভিযোগ করে শুভ্র মজুমদার লিখেছেন: আপনারা স্বাধীনভাবে সবার কথা তুলে ধরতে পারেন না। পক্ষপাত দুষ্ট খবর বেশি প্রচার করতে ব্যস্ত সময় পার করেন।
নেতিবাচক খবরেরে পাশাপাশি ইতিবাচক খবরের দিকেও গণমাধ্যমগুলোর নজর দেওয়া উচিত এমন মতামত দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন সুমন লিখেছেন: গনমাধ্যম শুধু নেগেটিভ খবর খোঁজে। শেকড়ের অনেক অনেক ভালো ও পজিটিভ খবরকে ওইভাবে প্রকাশে ব্যর্থ।
মো. মিজানুর রহমান শামীম লিখেছেন: যে দেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কথাই বলতে পারে না, সে দেশে আবার কিভাবে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করে? আপনাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আগে গণমাধ্যমকে মুক্ত করা।
শফিকুল ইসলামের মতে: বাংলাদেশের গণমাধ্যম মুক্ত না। আমি মনে করি গণমাধ্যমের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে গণমাধ্যমকে মুক্ত করা।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করার উদ্দেশে ৩ মে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে বা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করা হয়।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘কিপিং পাওয়ার ইন চেক: মিডিয়া, জাস্টিস অ্যান্ড রোল অব ল’।