বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপান সরকার সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি আজ সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে জাপানী রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, জাপান সরকার বাংলাদেশের মেট্রোরেল এবং তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্প কাজ করছে এবং এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পেরে তার দেশ জাপান গর্বিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর শুভেচ্ছা বার্তা হস্তান্তর করেন।
তিনি জাপানের সম্রাটের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে দেশ ও জনগণের সার্বিক কল্যাণ কামনা করেন।
বৈঠকে জাপানকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের পুনর্গঠনে জাপানের অবদান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে শহর ও পল্লী এলাকায় জাপানের উন্নয়ন সংস্থা – জাইকা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
এছাড়া রাষ্ট্রপ্রধান কোভিড-১৯ মোকাবেলায় টিকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সরবরাহের ক্ষেত্রে জাপান সরকারের আন্তরিক সহযোগিতার কথাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭৩ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের সম্পর্কের যে সূচনা হয়েছিল তা আজ ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।