সদ্য বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্সে রেকর্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশ।এই অর্থবছরে ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হুন্ডিতে কড়াকড়ি ও ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা উদ্যোগ প্রবাসী আয় বাড়ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুন মাসে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ফলে অর্থবছরের ১২ মাসে প্রবাসীদের পাঠানো আয় দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৪৪ কোটি ডলার বা ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাংলাদেশ রেমিট্যান্স থেকে আয় করে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার।
রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৪ বছরের মধ্যে দেশে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। এ সময় রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ২৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। এছাড়া সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল প্রবাসীরা। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, একক মাস হিসাবে গত অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি আয় আসে মে মাসে। রমজান ঈদ উপলক্ষে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। গত মে মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৭৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পঠিয়েছিলেন তারা। যা একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ।
২০১৮ সালে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫৫৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ পাঠিয়েছেন। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০৪ কোটি ডলার বা প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০১৭ সালে এসেছিল ১ হাজার ৩৫৩ কোটি ডলার। এর আগের বছর ২০১৬ সালে ছিল ১ হাজার ৩৬১ কোটি ডলার। ২০১৫ সালে এসেছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি ডলার। আর ২০১৪ সালে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৯২ কোটি ডলার।
নতুন ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে রেমিট্যান্স পাঠানোর ওপর প্রবাসী বাংলাদেশিদের ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ ১ হাজার টাকা রেমিট্যান্স পাঠালে প্রণোদনা হিসেবে ২০ টাকা পাবেন প্রবাসীরা।