৩৬ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে মুগ্ধতা ছড়িয়ে গেলেও, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিয়ে অখুশি তার নিজ দেশের দু’ রাজ্য আসাম এবং ত্রিপুরা সরকার।
মোদির সফর, বাস সার্ভিস চালু এবং ছিটমহল হস্তান্তরের আয়োজন নিয়ে উত্তর-পশ্চিমের আসাম এবং ত্রিপুরার রাজ্য সরকার নিজেদের নাখোশ মনোভাব জানিয়ে দিয়েছে।
তাদের প্রতিনিধি ছাড়াই বাংলাদেশ সফরের প্রতিক্রিয়ায় আসামের মূখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, (মোদির) এমন আচরণ প্রকাশ করে যে দু’ দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে ভারতের উত্তর-পশ্চিমের তেমন কোনো ভূমিকা নেই।
ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে বলেন, কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলং-গোয়াহাটির মধ্যে চলাচলকারী বাস সার্ভিস দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পতাকা উড়িয়ে চালু করলেন, সেখানে মমতা ব্যানার্জিও ছিলেন; কিন্তু অন্য রাজ্যের কোনো প্রতিনিধিকে রাখা হয় নি।
ভারতের উত্তর-পশ্চিমের রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং আসামের জন্য বাস সার্ভিস চালু হলেও রাজ্য তিনটির কেউই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না যেটা তাদের কষ্টের কারণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মানিক দে।
তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই বাস সার্ভিসটি চেয়ে আসছে ত্রিপুরা ও আসাম। কিন্তু সেই চাওয়া পূরণের ঐতিহাসিক মুহূর্তে রাজ্যগুলোর কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এমন আচরণে নাখোশ মানিক দে একে মোদি এবং বিজেপির নিম্নমানের রাজনীতি হিসেবে অভিহিত করেন।
রাজ্য তিনটির মধ্যে ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আছে বামফ্রন্ট এবং আসাম ও মেঘালয়ে কংগ্রেস।
কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় ড. মনমোহন সিং-এর বাংলাদেশ সফরে উত্তর-পশ্চিমের রাজ্যগুলোর মন্ত্রীরা প্রতিনিধিদলে ছিলেন। তখন অবশ্য শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসে বাংলাদেশে আসেন নি পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।