১৯৯২ বিশ্বকাপকে যেন মনে করানোর চেষ্টায় আছে পাকিস্তান। সেবার ধুঁকতে ধুঁকতে শিরোপাই জিতে নিয়েছিল ইমরান খানের দল। এবারও সেটা সম্ভব কিনা তা সময়ই বলবে। তবে রাস্তাটা খোলা থাকবে কিনা বুধবার এজবাস্টনে ম্যাচ শেষেই বোঝা যাবে। তবে প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে ২৩৭ রানে আটকে দিয়ে সরফরাজরা বুঝিয়ে দিলেন ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া তার দল।
বৃষ্টিতে ঘণ্টাখানেক দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে একদমই সুবিধা করতে পারেননি নিউজিল্যান্ড। বাঁচা-মরার ম্যাচে দলকে টেনে তুলতে কিউই ব্যাটসম্যানদের ঘিরে শুরু থেকেই তোপ দেগে গেছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলটাও মিলেছে হাতেনাতে!
দ্বিতীয় ওভারেই মোহাম্মদ আমিরের বলে বোল্ড মার্টিন গাপটিল (৫)। পরে একে একে কলিন মুনরো (১২), রস টেলর (৩) ও টম ল্যাথামকে (১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। কৈশোর থেকে সদ্য যৌবনে পা ফেলা পেসারকে এদিন যেনো বুঝেই উঠতে পারেননি কিউই ব্যাটসম্যানরা।
সেখান থেকে জিমি নিশামকে নিয়ে ৪৩ রানের জুটিতে নড়বড়ে ব্যাটিং কাঠামোকে শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়ে দেয়ার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ৪১ রান করার পর তাকে সরফরাজের ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান পাকিস্তানি লেগস্পিনার শাদাব খান।
নিউজিল্যান্ডের বিপদে তখন ঢাল হয়ে দাঁড়ান জিমি নিশাম। তার সঙ্গী কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুজনের ১২৯ রানের বোঝাপড়ায় জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় কিউইরা।
গ্র্যান্ডহোম ৬৪ করে রানআউটে কাঁটা পড়লেও নিশাম শেষ পর্যন্ত খেলে সাজঘরে ফিরেছেন মাত্র ৩ রানের জন্য শতক না পাওয়ার হতাশা নিয়ে। ১১২ বলে ৯৭ রানের ধৈর্যশীল অপরাজিত ইনিংসটিতে ৫ চারের বিপরীতে ৩ ছক্কা হাঁকিয়েছেন নিশাম।
১০ ওভারে কেবল ২৮ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুরুতে রান আটকালেও পড়ে রান বিলিয়েছেন আমির। ৬৭ রান খরচায় তার শিকার গাপটিলের উইকেট।