চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘বাঁকা পথে’ শেষ আটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

ক্রিকেট স্পিরিটকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবরা।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই রানের এ জয়ে জিম্বাবুইয়ান শেষ ব্যাটসম্যান রিচার্ড নগারাভাকে ক্যারিবিয়ান পেসার কিমো পল যেভাবে ফেরালেন তা নিয়ে সমালোচনা চলছে বিশ্ব জুড়ে।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

দুই রানের ওই হারে শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিলো তিন রান। উইকেটে তখন জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট জুটি। ওই ওভারে বল করতে আসেন কিমো পল। নন স্ট্রাইকে ছিলেন নগারাভা। পল যখন বল করার জন্য এগিয়ে আসছিলেন নগারাভা ক্রিজ ছেড়ে কোয়ার্টার সেন্টিমিটার মতো এগিয়ে গিয়েছিলেন। এ সুযোগে পল বল না করে সরাসরি স্টাম্পের বেল ফেলে দেন।

ক্রিকেট বাইবেল এ ধরণের আউট স্বতঃসিদ্ধ হলেও এটি ক্রিকেট চেতনার বাইরে  বলে সমালোচনা রয়েছে বিশ্বজুড়ে।

এ ধরণের আউটের প্রচলন অবশ্য বেশ পুরনো। ১৯৪৭ সালে ভারতের ভিনু মানকড়ের হাত ধরে এর সূত্রপাত হলেও তা প্রায় হারিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু ১৯৮১ সালে এ ন্যাক্কারজন কাজটি করে আবারও সমালোচনার সৃষ্টি করেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভর চ্যাপেল। সেবার ট্রেভর চ্যাপেলের ‘আন্ডার আর্ম’ ডেলিভারিতে সমালোচনার ঝড় ওঠেছিলো বিশ্বজুড়ে।

তবে শতবছরের ক্রিকেট ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেছে আটবার। সর্বশেষ ২০১৪ সালে ইংলিশ ক্রিকেটার বাটলার লংকান সচিত্র সেনানায়েককে ফেরাতে এ সরু পথ বেছে নিয়েছিলেন।

অবশ্য অন্য দৃষ্টান্তও আছে, ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোর্টনি ওয়ালশ ১৯৮৭ সালের বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের ব্যাটম্যান ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গেলে তাকে আবারও ফিরিয়ে এনে বল করেন।

২০০৩ সালে মুলতাল টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রায় জয়ের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলো বাংলাদেশ। জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিলো একটি উইকেট। রান নেওয়ার সময় উইকেটের মাঝে পড়ে যান পাকিস্তানের তৎকালীন অধিনায়ক ইনজামামুল হক। তবে সেবার সুযোগ পেয়েও উইকেট ভাঙ্গেননি টাইগার স্পিনার মোহম্মদ রফিক। 

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২২৬ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন স্প্রিঙ্গার। তার ৭১ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও দুটি ছক্কায়।

জিম্বাবুয়ের রুগারে মাগারিরা তিন উইকেট নেন ৪৮ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২২৪ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।