জাতীয় সংসদের আবাসিক ভবন ন্যামের দশ তলায় ছাদকৃষির উদ্যোগ নিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের স্ত্রী আলেয়া আজম।
বিভিন্ন ফল, ফুল ও সবজির বাগানে কাটে তার দিনের বেশ কিছুটা সময়। বিনিময়ে পান সতেজ ফল ফসলের স্বাদ ও প্রকৃতির সঙ্গে থাকার আনন্দ।
দশতলা ভবনের ছাদ হয়ে উঠেছে গাছগাছালিতে পূর্ণ একটি উঠোন। ফুল ফল সবজি ও ওষুধি গাছের পসরা বসেছে এই উঠোনে।
সাত বছর ধরেই বাগানটি গড়ে তুলেছেন প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযমের স্ত্রী আলেয়া আযম।দিনে দিনে তিনি চিনে গেছেন সব গাছ জেনে গেছেন সব গুণাগুণও। গাছ পরিচর্যায় এবং প্রযুক্তি প্রয়োগের ধারণাও অর্জন করেছেন তিনি।
ছাদ কৃষি উদ্যোক্তা আলেয়া আযম বলেন, বিয়ের আগে ফুলের বাগান করতাম।জায়গা পেলেই আগে থেকেই বাগানের নেশা আমার। কাগজি লেবু, এলাচি, চায়না লেবু, ডায়বেটিকস লেবু, সীডলেস লেবু, চেরি,সহ অনেক প্রজাতির গাছ রয়েছে। আছে ওষুধি গাছ গায়নেরা। যারা প্রেসার বেশি তার প্রেসার নরমাল করবে, যার ডায়াবেটিকস বেশি তাদেরকেও ব্যালান্স করবে।
মায়ের বাগানের ফল ফুল প্রতিদিনিই মুগ্ধ করে এই শিশু কন্যাদের। শিশুকন্যাও বলেন, বড় হয়ে এমন বাগান করার ইচ্ছা রয়েছে তার। নিয়মিত বাগানে আসে এবং স্কুলের বন্ধু বান্ধব ও জানে তার রয়েছে সুন্দর বাগান। গাছ পরিবেশের তথা মানুষের অন্যতম বন্ধু বলেও উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রীর শিশুকন্যা।
স্ত্রীর বাগানের প্রতি টান তাই সংসদ ভবনের এই বাসভবন ছেড়ে সরকারী বাসভবনে যাননি প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম।
বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, আমার স্ত্রীর বাগানের প্রতি এমন আকর্ষণ যে নিজেরে সন্তানের মতোই লালন পালন করেন। কারণ আমি মন্ত্রিত্বের শপথ নেওয়ার পর সরকারী মন্ত্রীর বাড়ির বরাদ্দ পেলাম, স্ত্রীর দেখলাম মন্ত্রীর বাড়ির চাইতে এই বাগানের প্রতি আকর্ষণ অনেক বেশি। তাই পরে আর বাগান রেখে সরকারী বাড়িতে যাওয়া হয়নি।
যেকোনো জায়গা থেকেই সম্পর্ক রাখা যায় মাটির সাথে, প্রয়োজন হয় স্বদিচ্ছা, প্রেম আর মাটির প্রতি ভালবাসা।সংসদ সদস্যদের বাস ভবনের এই ছাদে প্রতিমন্ত্রী পত্নী আলেয়া আযমের এই ছাদ কৃষিটি অন্যদের জন্য হতে পারে অনুসরণীয়।