চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বস্তি থেকে লাল গালিচায়

সানি পাওয়ারের সাথে অনেকেরই পরিচয় হয়েছে এরই মধ্যে। এবার ৮৯ তম অস্কার আসরের অন্যতম তারকা যে এই সাত বছরের পুঁচকে সানি! এখনো ঘুড়ি ওড়ানোর শৈশব না পেড়ুতেই ‘লায়ন’ ছবির এ খুদে অভিনেতা হেঁটেছেন অস্কারের লাল গালিচায়।

তবে লাল গালিচায় উঠে আসার গল্পটা ঠিক ততটা সহজ ছিল না। ভারতের মুম্বাইয়ের এক বস্তিতে দরিদ্র বাবা-মার সাথে বাস করতেন সানি।

আর তাই ভারতের সেই বস্তি থেক অস্কারের লালগালিচায় পা দিয়ে সানি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে প্রায় দুই হাজার শিশুশিল্পীকে পেছনে ফেলে জিতে নেয় ‘লায়ন’ ছবির পরিচালক গার্থ ডেভিসের মন। ইংরেজি ভাষা না জানায় অভিনয় নিয়ে ভয় ছিল সানির মায়ের। কিন্তু ছোট্ট সানি বুদ্ধিদীপ্ত দুর্দান্ত অভিনয় করে মন জয় করেছে সবার। মারাঠা আর হিন্দি ভাষা জানা তার অস্কারে সাবলীল উপস্থিতি সবাইকে অবাক করে দেয়। মুম্বাইয়ের অল ইন্ডিয়া মডেল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া সানি স্কুলেও নাকি শিক্ষকদের মধ্যমণি। বাবা মা আর ছোট দুই ভাই বোনের সংসারে, বাবার আয়েই তাদের সংসার চলে। নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুদের মতোই কেটে যাচ্ছিল সব কিছু। কিন্তু একটা অডিশন বদলে দেয় সব।

অস্কার অনুষ্ঠানে সানি পাওয়ার

গার্থ ডেভিসের ‘লায়ন’ ছবিতে সানি অভিনয় করেছে ছোট্ট সারু’র চরিত্রে। এই সারুকেই পরে দত্তক নেয় অস্ট্রেলিয়ার ব্রিয়ারলি দম্পতি, যাদের ভালোবাসায় নিজের দেশ থেকে সহস্র মাইল দূরে বেড়ে উঠতে থাকে সে। বড় হয়ে সে সিদ্ধান্ত নেয় নিজের শেকড় খুঁজে বের করার, আর সেখান থেকেই জন্ম নেয় অসাধারণ এক গল্পের।

গল্পটি অস্ট্রেলিয় ব্যবসায়ী সারু ব্রিয়ারলির নিজের জীবনের। আর সে গল্পকেই পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ অভিনেতা দেব প্যাটেল, যে কারণে তিনি মনোনীত হন অস্কারে পার্শ্ব চরিত্রে সেরা অভিনেতার বিভাগে। সিনেমাটিও মনোনীত হয় সেরা চলচ্চিত্রের বিভাগে। টাইমস অব ইন্ডিয়া।