বসন্ত এসে গেছে। প্রকৃতি যেমন নিজের রঙে সেজে উঠবে তেমনি বসন্তকে বরণ করে নিতে আপন মনে সাজবেন সব বয়সী মানুষেরা। হাজারো ব্যস্ততার মাঝে মিডিয়া অঙ্গণের তারকা ভুলে যাবেন না বসন্তের সাজ। নিজের মতো করে বসন্তের রঙে নিজেদের সাজিয়ে তুলবেন।
চ্যানেল আই অনলাইনের কাছে জনপ্রিয় তারকারা তাদের বসন্তের সাজ নিয়ে কথা বলেছেন। জানিয়েছেন এই দিনটিকে কীভাবে তারা বরণ করে নেবেন:
লায়লা হাসান
আমি সবসময় চিরন্তন বাঙালি সাজকে প্রাধান্য দেই। বসন্তে প্রকৃতির সঙ্গে আমরাও সাজব। আমার বসন্তের সাজে থাকবে বাসন্তী শাড়ি, কপালে টিপ, খোঁপায় ফুল, পায়ে আলতা। নাচের দল (নটরাজ) নিয়ে সকাল কাটাব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায়।
কনকচাঁপা
এবার আমি একদিন আগেই বসন্ত শুরু করব। গীতিকবি মোহাম্মাদ রফিকুজ্জামানের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যাব। আমি উজ্জ্বল রঙের জামদানী শাড়ি পড়ব। খোঁপায় বেলিফুল পরতে পছন্দ করি। এবারো দেখা যাবে খোপাভর্তি সতেজ ঘ্রাণের বেলিফুল।
রোকয়া প্রাচী
বসন্তের সকালে সাধারণত চারুকলায় যাওয়া হয় না, কিন্তু বসন্তের সাজ মিস করি না। যেই কাজে থাকি না কেন, বসন্তের সাজে নিজেকে সাজাই। এবারো দেশি ডিজাইনের বাসন্তী বা হলুদ রঙের শাড়ি পড়ব। হাতভর্তি চুড়ি থাকবে। নিজের বাগানের ফুল খোঁপায় দিব। আর কপালে অবশ্যই লাল রঙের টিপ থাকবে।
বিপাশা হায়াত, টিভি অভিনেত্রী ও নাট্যকার
পহেলা ফাল্গুন আমাদেরই আয়োজন। এই দিন আমাদের মনে করিয়ে দেয় নিজস্ব সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কথা। এটা কেবল বাঙালীদের সংস্কৃতির অংশ। রুপে-বৈচিত্রে এর আলাদা ধরনই আছে। আর এজনই আলাদা করে বলতে হয় না আজ কোন দিন। জীর্ণতাকে ফেলে নবযৌবনের গান গাওয়ার নামই পহেলা ফাল্গুন তথা বসন্তের চিরায়ত রুপ। এই দিনে সবাই একটু বাঙালী ঢংয়ে নিজেকে সাজিয়ে নিতে চায়।এর বাইরে আমরাও নই। বিশেষ কোন জায়গায়
বেড়াতে না গেলেও পোষাকে একটু ভিন্নতা সবসময় থাকে। দিনটিতে কমলা রঙের ব্লকের কাজ করা শাড়ি পরব। তৌকির পরবে পাঞ্জাবী আমাদের ছেলেকেও পাঞ্জাবী পড়াবো।
ফাহমিদা নবী, সঙ্গীতশিল্পী
১লা ফাল্গুন বাঙালী সংস্কৃতির একটি অন্যতম দিন। এটা আমাদের বাঙালীদের দিন। এ দিনে একটু আলাদাভাবে কাটানোর ইচ্ছা ছিল কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে ফাল্গুনের প্রথম দিনটি উপভোগ করতে পারবো না। প্রথমত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবে। এছাড়া আগামীকাল আমার ছোটবোন লন্ডনে চলে যাবে। এজন্য ব্যস্ত থাকব। তবে পোষাকের কথা যদি বলেন তাহলে এমনিতেই তো আমি শাড়ি পরতে বেশী পছন্দ করি। আর কাল অবশ্যই কমলার উপর কাজ করা শাড়ি পরব। এজন্য বসন্তের প্রথম দিনে পরার জন্য নতুন একটি শাড়ি কিনেছি।
কোনাল
সামনে আমার বিয়ের অনুষ্ঠান। খুব ব্যস্ত, তাই এবার বসন্ত নিয়ে ভাবছি না। তবে বাসন্তী রঙের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজ পড়া হবে। মাথায় হয়তো একটি ফুল রাখব। সারাদিন কাজের মধ্যে থাকা হবে, তাই হাতভর্তি চুরি পড়া হবে না।বিদ্যা সিনহা মিম
আমার যাওয়ার কথা ছিল ব্যাংকক। যাওয়া হচ্ছে না। দেশে থাকব না বলে পহেলা বসন্ত ছিল পরিকল্পনার বাইরে। একদিন আগে যেহেতু জানতে পেরেছি, তাই নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়নি। দেশে থাকলেও সেভাবে বসন্ত পালন করা হয় না । বেশিরভাগ দিনিই শুটিং থাকে। তবে কারো হলুদ অনুষ্ঠানে কমলা শাড়ি, হাতভর্তি চুড়ি, মাথায় ফুলের মুকুট দেখলে খুব হিংসা হয়।
নুসরাত ফারিয়া
এবার ফাগুনের প্রথম দিনে আমার সাজে থাকবে বসন্তের ছোঁয়া। পড়ব মায়ের বাসন্তী রঙের শাড়িটা। কানে থাকবে ঝুমকো এক জোড়া। খোঁপার প্রতি বরাবরই একটু বেশি সচেতন আমি। ফাগুনের প্রথম দিনে তাই খোঁপায় ফুল বাঁধব। প্রিয় ফুলের তালিকায় রেখেছি হলুদ গাঁদা, গোলাপ আর গাজরা।
নাদিয়া
সকালে নাইমকে নিয়ে চারুকলায় যাব। চারুকলায় বসন্তের রঙে নিজেকে রাঙিয়ে এরপর কাজে বের হবো। বাসন্তী বা হলুদ রঙ্গে শাড়ি পড়ব। হাতে চুড়ি পড়া হবে। মাথায় ফুল দিলেও দিতে পারি।