বলিউডে পা রেখেই সাইফ আলি খান এবং সুনীল শেঠির সঙ্গে অভিনয় শুরু করেছিলেন তিনি। তবে লক্ষ্য ছিল একটাই, বলিউড ভাইজান সালমান খানকে বিয়ে করা!
বলছি পাকিস্তান বংশদ্ভূত প্রাক্তন আমেরিকান ও বলিউড অভিনেত্রী সুমি আলির কথা।
৯০ এর দশকে বেশ কিছু বলিউড সিনেমাতে দেখা গিয়েছিল সুমি আলিকে। তবে ভারতে এসে অভিনয় করা তার লক্ষ্য ছিলনা কখনোই, বরং সালমান খানকে জীবন সঙ্গী করাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে আবারও নিজের সেই পুরনো স্বপ্নের কথা জানান অভিনেত্রী সুমি আলি।
সাক্ষাৎকারে সুমি জানান, ১৯৯১ সালে সালমান অভিনীত ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’ সিনেমা দেখেই ভাল লেগে যায় তাকে। তখন আমার বয়স ছিল মাত্র ১৬। সেই বয়সেই সালমানকে বিয়ে করার জন্য ভারতে আসবেন বলে সুমি স্পষ্ট জানিয়ে দেন তার মাকে। মেয়ের কথা শুনে ওই সময় ভড়কে যান সুমি আলির মা। মেয়ে যাতে ওই ধরনের কিছু না করেন, তার জন্য ঘরের মধ্যে নজরবন্দি করে রাখা হয় তাঁকে।
তিনি বলেন, এরপর মাঝ রাতে সালমানের স্বপ্ন দেখে জেগে উঠলে, বাবার সঙ্গে কথা বলতেন সুমি। বাবার সঙ্গে কথা বলেই তিনি ভারতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। তবে বাবাকে জানান মুম্বাইয়ে তাদের আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চান। এরপরই শুরু হয় সুমির মুম্বাই যাত্রা।
মুম্বাইতে আসার পর মডেলিং জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সুমি। মডেলিংয়ের পাশাপাশি অভিনয়ও শুরু করেন ৯০ দশকের এই অভিনেত্রী। সেই সাথে নিজের লক্ষ্যের খুব কাছাকাছিও ছিলেন। কারণ সালমান খান এবং সুমি আলির মধ্যে প্রেমের সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল, যা নিয়ে সেসময় বেশ আলোচনা শুরু হয় বি টাউনে। তবে টানা ৮ বছর সালমান খানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও শেষমেশ সেটি ভেঙে যায়।
পরবর্তীতে প্রেম সম্পর্ক ভাঙার বেশ কয়েক বছর পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান সুমি। সেখানে গিয়ে নতুন করে উচ্চশিক্ষা শুরু করেন। এরপর লেখিকা, সমাজকর্মী হিসেবে নিজের পরিচয় গরে তুলেছেন প্রাক্তন অভিনেত্রী।
‘নো মোর টিয়ারস’ নামে তার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে কাজ হয় মূলত দক্ষিণ এশিয়ার পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে।