বঙ্গভঙ্গের পর নির্মিত ‘বর্ধমান হাউস’ আজকের বাংলা একাডেমি ভবন। বর্ধমান হাউসে যে ব্যক্তিরা সময় কাটিয়েছেন তাদের অন্যতম জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
ব্রিটিশ শাসন পরিষদের তিন সদস্যের একজন ছিলেন বর্ধমানের মহারাজা স্যার বিজয় চাঁদ মাহতাব। তিনি এখান থেকে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতেন বলেই ভবনটির নাম বর্ধমান হাউস। ভাষা আন্দোলনের পর যুক্তফ্রন্ট সরকার নির্বাচিত হলে নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের পরিবর্তে বর্ধমান হাউসে গড়ে উঠে বাংলা একাডেমি।
বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা এবং নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র বর্ধমান হাউস। ব্রিটিশ আমলে এখানে অতিথি হয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামসহ অনেক বরেণ্যজন।
কবি নজরুল বর্ধমান হাউসের দোতলায় অতিথি হয়ে থেকেছেন। বর্ধমান হাউসের পুকুর পাড়ে বসে গান গাইতেন, বাঁশিও বাজাতেন প্রেম-ভালোবাসা আর অনল-বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
কালের পরিক্রমায় বর্ধমান হাউসকে কেন্দ্র করেই বাংলা একাডেমি, অমর একুশে গ্রন্থমেলা, লেখক কুঞ্জ, একুশের অনুষ্ঠান মঞ্চ, নজরুল মঞ্চ। যে বইমেলা শেষ হচ্ছে বুধবার সেই মেলায় এসে দেখে যাওয়া যাবে বর্ধমান হাউসে গড়ে উঠা ভাষা আন্দোলন জাদুঘর।
বর্ধমান হাউস থেকে বাংলা একাডেমি, পরতে পরতে ইতিহাস। সেই ইতিহাসে জড়িয়ে আছে বাঙালির স্বাধিকারের চেতনা, একুশের রক্তস্রোত দ্রোহ এবং অমর একুশের সাফল্য গাঁথাও। ঐতিহাসিক বর্ধমান হাউস তথা বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।
আরও বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে-