চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বর্ণিল আয়োজনে আওয়ামী লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন

জাতীয় সংগীতের পর জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অাওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দলের সাধরণ সম্পাদক সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম।

দলনেত্রী উদ্বোধন ঘোষণা করে উদ্বোধনী পর্ব পরিচালনার দায়িত্ব দেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদকে। এরপর শুরু হয় ‘আলোর অভিযাত্রা’ নামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

নানাভাবে আলোচিত এ সম্মেলনে ৬ হাজার ৫শ’ ৭০ জন কাউন্সিলর অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি মহানগর থেকে তৃণমূল, সকল পর্যায়ের ৫০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী-সমর্থক। সম্মেলনের কাউন্সিল অধিবেশন ২৩ অক্টোবর রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

গণমাধ্যম ছাড়াও এবারের সম্মেলন সরাসরি দেখা যাবে ফেসবুক লাইভে। ফেসবুকে সম্মেলন সরাসরি দেখতে এ লিংকে ক্লিক করতে হবে https:/www.facebook.com/events/190591254683432/ এই ঠিকানায়।

সর্বশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ নির্বাচন করা হবে। এসময় কমিটি নির্বাচনের কার্যক্রম পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তিন সদস্যের এ কমিশনের সদস্যারা হলেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ড. মশিউর রহমান এবং সাবেক সচিব রশিদুল আলম।

উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ, বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়াও দেশের কুটনীতিক, রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী এবং সাংবাদিকরাও আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এবারের জাতীয় কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছি দুর্বার। এখন সময় বাংলাদেশের মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার’। সম্মেলনকে ঘিরে সারাদেশেই দলটির মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।

সম্মেলন উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা শহরগুলো সাজানো হয়েছে। শুধু দেশেরই নয়, প্রবাসী বাঙালীদেরও দৃষ্টি এখন আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকে। আগামী নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে দলটি কেমন নেতৃত্ব আনছে, ঘোষণাপত্রে কী ঘোষণা থাকছে, সেটি দেখার অপেক্ষায় এখন দেশের ১৬ কোটি মানুষ।

অন্যদিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মাথায় রেখে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে নির্বিঘ্নে করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

এসেছেন ১২ দেশের ৫৫জন অতিথি : চীন, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ভারত, কানাডা, অস্টোলিয়া, ইতালি, শ্রীলংকাসহ ১২টি দেশের ৫৫ জন বিদেশি অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।

নৌকা মঞ্চে নেতৃবৃন্দ: সম্মেলনকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে। মূল মঞ্চ হয়েছে পাঁচ স্তরের। একেবারে সামনের অংশটির উচ্চতা আড়াই ফুট। সেখান সাংস্কৃতিক পরিবেশনা হচ্ছে। সাত ফুট উচ্চতার স্থানটিতে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বসবেন। আর পেছনের বিভিন্ন উচ্চতার তিন সারিতে কেন্দ্রীয় নেতাসহ ৫৮ জন বসেছেন।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন রোজ গার্ডেনে জন্ম আওয়ামী লীগের। এখন ঐতিহ্যবাহী এই দলটির বয়স ৬৭ বছর। এ পর্যন্ত দলটির ১৯টি জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলন ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।