বরিশালের হিজলা উপজেলার মেমানিয়া গ্রামে ৮ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু থানা পুলিশ নির্যাতিতা ছাত্রী এবং তার বাবাকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করার কথা বলেছেন ।
পুলিশের গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
নির্যাতিতা বরিশালের হিজলা উপজেলার একতা বাজার ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। অভিযুক্তের নাম সজিব গাজী। সে স্থানীয় চর মেমানিয়া নুরুল হক গাজীর ছেলে এবং স্থানীয় মেমানিয়া মোস্তাফিজুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেনীর ছাত্র।
নির্যাতিতা ওই ছাত্রী মঙ্গলবার দুপুরে তার বাবাকে সাথে নিয়ে বরিশাল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি ধর্ষণ হওয়ার পরও মামলায় ধর্ষণের কথা না লিখে ধর্ষণের চেষ্টা লেখার অভিযোগ করেন থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। এছাড়া অভিযুুক্তের পরিবার থেকে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির (হিজলা গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাহের আকন) বিরুদ্ধে। ঘটনার বিচার দাবি করেছেন নির্যাতিতার বাবা।
ঘটনা তদন্তের পাশাপাশি থানা পুলিশের গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে একা বাসায় পেয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে প্রতিবেশী বখাটে সজিব গাজী। এর আগে সে ওই ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করতো বলে অভিযোগ তার।
ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশ মিমাংসার কথা বলে সময় ক্ষেপন করেও কোন প্রতিকার না করায় গত ১৩ এপ্রিল থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতা।
প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকরা এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের বক্তব্য জানতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওই নির্যাতিতা এবং তার বাবাকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডেকে নেন। তিনি সাংবাদিকদের সামনে তাদের সাথে কথা বলেন এবং একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে ওই ছাত্রীর ধর্ষণের বিভিন্ন আলামত পরীক্ষা করেন। পরে তিনি ওই পরিবারকে ন্যায় বিচারের প্রতিশ্রুতি দেন।