টাঙ্গাইলে দীর্ঘ সময় ধরে যমুনাসহ ধলেশ্বরী, ঝিনাই, লৌহজং নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় এবার উপচে পড়া বন্যার পানি প্রবেশ করেছে কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে।
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলার ১১টিই এখন বন্যা কবলিত। চারদিকে পানিতে থৈথৈ করছে। এমন ভয়াবহ চিত্র বহু বছর ধরে দেখেননি এ অঞ্চলের মানুষ।
কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বন্যার পানি প্রবেশের ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সংকটে পড়েছে এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণ। বন্যার পানিতে বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাস্থ্যগত নানা রোগবালাই। তার চাপ পড়েছে প্রান্তিক অঞ্চলের লাখো মানুষের ভরসার এই প্রতিষ্ঠানে।
এমন প্রেক্ষাপটে হাসপাতালের মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়াসহ নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও মানবিক কারণ বিবেচনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন ডাক্তাররা। হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বন্যায় টইটম্বুর নৌকার মত চলছে একের পর এক রোগী বহন করা ট্রলি।
এভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি প্রবেশ করার পরও চিকিৎসকরা সেবাকার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতা ও স্বজনদের।
এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে জেলা ও জেলার বাইরের ৭ শতাধিক রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। এছাড়াও বাহিঃবিভাগ থেকে প্রায় ১৫০০ জন নানা ধরণের সেবা গ্রহণ করে থাকেন।