এক সময় খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনূর্ধ্ব-১৯, ১৭ ও ১৫ তিন দলেই। জন্ম তার বার্বাডোজে। সেই সূত্রে এখনকার ক্যারিবিয়ান দলের অনেকেই তার বন্ধু। কিন্তু সেই বন্ধুদেরই গলার কাঁটা জফরা আর্চার। ম্যাচে তিন উইকেট নিয়ে ‘স্বদেশিদের’ কোমর ভাঙায় বড় অবদান তারই। আর্চারের সঙ্গে মার্কউড, জো রুট, লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকসদের সম্মিলিত চাপে ২১২ রানেই অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ক্যারিবীয় ব্যাটিংয়ের প্রথম ৮ জনের মধ্যে ৬জনই বিগ হিটার। তবু শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং আক্রমণকে ২১২ রানেই আটকে দেয় ইংল্যান্ড। জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ২১৩ রান।
শুরু থেকেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারায়। শুরুতে গেইল (৩৬) ক্যাচ তুলে বেঁচে গেলেও, বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি। ক্যারিবীয় ইনিংসের একমাত্র বলার মতো বিষয় সিমরন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরানের জুটি। একসময় পরপর উইকেট হারানোর মুখে দুজনের পার্টনারশিপে ৮৯ রান আসে। তবে হেটমায়ার (৩৯) ফিরতেই বাকি ব্যাটসম্যানরা আর টিকতে পারেননি। পুরান সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন। শেষ ছয় ব্যাটসম্যানের চারজনই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
ইংল্যান্ডের পেসার ও স্পিনার দুই ধরনের বোলাররাই সাফল্য পান।
নিজের দেশের বিরুদ্ধেই বল হাতে জ্বলে উঠেন আর্চার। একসময় পরপর পুরান ও কর্টরেলকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভবনাও জাগিয়েছিলেন। আর্চারের মতোই তিন উইকেট নেন মার্ক উড। জো রুটের সংগ্রহে ২ উইকেট। রুট গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আউট করেন হেটমায়ার ও হোল্ডারকে। ক্রিস ওকস নেন ১ উইকেট। ইংল্যান্ডের অবশ্য দুঃশ্চিন্তার যথেষ্ট কারণ থাকছে। চোট পেয়েছেন ওপেনার জেসন রয় ও অধিনায়ক ইয়ন মরগান।