কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশী ট্রু এভিয়েশনের কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট গুফারেডসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই ইউক্রেনের নাগরিক। বেঁচে যাওয়া এক ইউক্রেনের নাগরিক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় জেলেরা দুইজনকে উদ্ধার করে। তাদেরকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পাইলট গুফারেডকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনের আরেক নাগরিক পেটরোবিবান এর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন আশংকামুক্ত।
সাগরে টানা ৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয় আরো দুই ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃতদেহ। নিহত এবং আহত ইউক্রেনীয় নাগরিকদের সবাই অ্যান্টানভ-টুয়েন্টিসিক্স পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বেসরকারি কার্গো বিমানটি যশোরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েও আবার এয়ারপোর্টে ফিরে আসার চেষ্টা করে। কয়েক দফা যোগাযোগের পরও শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ট্রু এভিয়েশনের কার্গো বিমানটি বঙ্গোপসাগরে বিধ্বস্ত হয়।
ট্রু এভিয়েশনের অ্যান্টানভ-টুয়েন্টিসিক্স কার্গো বিমানটি প্রতিদিনের মতো চিংড়ির পোনা নিয়ে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কক্সবাজার থেকে যশোরের উদেশ্যে রওয়ানা হয়।
কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার পশ্চিমে মহেশখালির সোনাদিয়া দ্বীপ এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। খবর পেয়ে উদ্ধারে নামে কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ফিস এবং পুলিশ।