খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী রয়্যালস। আগের ছয় আসরে শিরোপা জয়ী দল ছিল চারটি। যার মধ্যে এক ঢাকাই তিনবার জিতেছে দুই নামে। সপ্তম আসরে পাওয়া গেল নতুন চ্যাম্পিয়ন।
প্রথম দুই আসর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, তৃতীয় ও ষষ্ঠ আসর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস, চতুর্থ ও পঞ্চম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল যথাক্রমে ঢাকা ডায়নামাইটস ও রংপুর রাইডার্স। দুই ভিন্ন নামের ঢাকাকে শুধু ঢাকা হিসেবে ধরলে, বিপিএলে শিরোপাজয়ী দল ছিল আসলে তিনটি!
রাজশাহী-১৭০/৪, খুলনা-১৪৯/৮
রাজশাহীর দেয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে দেড়শর আগেই থেমে যায় মুশফিকুর রহিমের খুলনা। সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শামসুর রহমান শুভ। ৩৭ রান আসে রাইলি রুশোর ব্যাটে।
১২.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তুলে জয়ের পথেই ছিল খুলনা। ফিফটির পর কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে শামসুর রহমান এক্সট্রা কাভারে আফিফ হোসেন ধ্রুবর হাতে ক্যাচ তুলে দিতেই ঘুরে যায় ম্যাচের চিত্র।
ওই ওভারেই কামরুল ইসলাম ফেরান নজিবউল্লাহ জাদরানকে। বোলারদের দাপটে খুলনাকে ১৪৯ রানে আটকে রেখে জয়োল্লাসে মাতে আন্দ্রে রাসেলের দল।
বাকিদের মধ্যে শান্ত (০), মিরাজ (২) ব্যর্থ। মুশফিক যেতে পেরেছেন ২১ পর্যন্ত।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বিপিএল ফাইনাল, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ছিল উপচে পড়া দর্শক উপস্থিতি। মাঠের খেলাতেও ছিল জমজমাট ম্যাচের আবহ। কিন্তু দুই দলের শেষের সময়টা দুই রকম হওয়ায় সহজেই ম্যাচ জেতে রাজশাহী।
দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ ইরফান, আন্দ্রে রাসেল ও কামরুল ইসলাম। মোহাম্মদ নওয়াজ ও আবু জায়েদ রাহি নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে রাজশাহী। ১৭ ওভার পর্যন্ত লাগাম টেনে রাখলেও মোহাম্মদ নওয়াজ ও আন্দ্রে রাসেল ঝড়ে তারা পেয়ে যায় লড়াকু পুঁজি।
১৭ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ছিল ১১৬/৪। শেষ ৩ ওভারে তারা যোগ করে ৫৪ রান। নওয়াজ ২০ বলে ৪১ ও রাসেল ১৬ বল খেলে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা অবিচ্ছিন্ন থেকে যোগ করেন ৭১ রান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর শুরুটা ভালো হয়নি। ১০ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের অবিশ্বাস্য এক ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলের রান তখন ১৪। ওপেনিংয়ে তার সঙ্গী লিটন দাস ২২ গজে থিতু হয়ে গেলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৮ বলে ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
ওপেনাররা কার্যকরী না হলেও তিনে নামা ইরফান শুক্কুর খেলেছেন দুর্দান্ত। এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৩৫ বলে করেন ৫২ রান। ৬টি চারের সঙ্গে তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা।
খুলনার পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন রবি ফ্রেইলিঙ্ক ও শহিদুল ইসলাম।