গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের টানা পাঁচ দিনের আন্দোলনে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ খোলার অনুমোদন না দেওয়ার প্রতিবাদে আজ সোমবার একাডেমিক ভবনের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান করছে শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক রাত ৯টার পর ক্লাশ পরীক্ষা বন্ধ করে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটসহ অন্যান্য গেটে তালা ঝুলিয়ে ভবনের সামনে শেডের নিচে অবস্থান কর্মসুচী পালন শুরু করে ইতিহাস বিভাগের প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী।
এনিয়ে শিক্ষার্থীদের ইউজিসির সিদ্ধান্ত বিরোধী আন্দোলনের ৫ম দিন আজ। এদিকে প্রশাসনিক ভবনের প্রধান গেটসহ গোটা ভবনের প্রবেশ মুখের সকল গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার কারণে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দাপ্তরিক কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অন্যদিকে প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে নিজেদের শরীরে লেপ-কম্বল ও কাঁথা জড়িয়ে রাতদিন ২৪ ঘণ্টা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইউজিসির সিদ্ধান্ত মানি না মানবোনা, ইতিহাস বিভাগ খোলার অনুমোদন দিতে হবে, জাতির পিতার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগ খোলার অনুমোদন ইউজিসি নাই কেন, জবাব চাই দিতে হবে, লেগেছে রে লেগেছে, অন্তরে ব্যাথা লেগেছে এমন লেখা প্লাকার্ড প্রদর্শন করা ও শ্লোগান দিতে শোনা যায়।
এরআগে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেন ক্যাম্পাস ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহিদুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন: আমরা ইতিহাস বিভাগের প্রায় সাড়ে ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী আপনার সন্তানের মত। আশা করবো বড় আন্দোলনের ডাক দেওয়ার আগে তথা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির আগে ইতিহাস বিভাগ খোলার অনুমোদন দিয়ে আমাদের ইতিহাস জানার ও শেখার সুযোগ করে দেবেন।
বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসি অধ্যাপক ড.শাহজাহানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন: সমস্যা সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ইউজিসি, রিজেন্ট বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কবে নাগাদ বিষয়টি সমাধান হতে পারে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একদিকে বিষয়টি যেমন দীর্ঘদিনের অন্যদিকে বিষয়টি সমাধান করতে হলে সময়েরও দরকার। তবে এব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা চলছে।