প্রযুক্তিগত সামাজিক উদ্ভাবনের জন্য ১১ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিবছরের মতো বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম বৃহস্পতিবার এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরামের পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী দৌলাত মাহমুদ জাফরি (সিইও স্কিল অফ বাংলাদেশ), ফারহা মাহমুদ ট্রিনা (সহ-সভাপতি ইনভেস্টমেন্ট কমিটি ইক্যাব), বি.খন্দকার (সভাপতি ইউজিবি), ডাঃ তানজিবা (সভাপতি বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সার ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি), আলী আকবর আশা (সভাপতি বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন)। মুজিববর্ষকে সম্মান জানিয়ে এবারের পুরস্কার বঙ্গবন্ধুর নামে করা হয়েছে।
সোশ্যাল ইনকুলেশন এবং ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট—এই দুই ক্যাটাগরিতে ইনডিভিজুয়াল ও গ্রুপ বিভাগে ৮ শ’র বেশি আবেদন থেকে ৪৭ জনকে প্রাথমিকভাবে নমিনেশন দেওয়া হয়। এর মধ্য থেকে ১১ জনকে চূড়ান্তভাবে বিজয়ী করা হয়েছে। বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সার্টিফিকেট ও পদক। অনুষ্ঠানটি পূর্বাচলের হ্যাঙআউট এন্ড লাইভ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এওয়ার্ড অনুষ্ঠান এর শেষে জমকালো লাইভ মিউজিক দিয়ে শেষ হয় এবারের আয়োজন।
‘বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ বিজয়ীরা হলেন: ইন্টিগ্রেটেড কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মাদ মহসিন, উপমা আহমেদ, মেহেদী হাসান, নাজওয়া তাহসিন, আনিকা রোকেয়া রউশন রেশমী ও ঐশ্বরীয়া সানজুক্তা রয় প্রোমা।
সোশ্যাল ইনকুলেশন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন মুমতাহিনা আনিকা, ফাহাদ বিন বেলায়েত, সাজ্জাদ হোসেন ও ডা. মো. রিফাত আল মাজিদ ও আবুল বাশার ফাউন্ডেশন।
অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের প্রজেক্টগুলো মবিলাইজ করে এই বছরের মার্চে জাতিসংঘের এসডিজি গ্লোবাল ফেস্টে সাবমিট করা হবে। যেখানে তুলে ধরা হবে তরুণদের সামাজিক উদ্ভাবনীমূলক এই কর্মকাণ্ড।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. আলী আকবর আশা বলেন, আমরা প্রতিবছর বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন সামিট করে থাকি। সেই সম্মেলনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিকনির্দেশনা এবং সামাজিক পরিবর্তনে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। এই সম্মেলনে দেশের সমাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবার করোনার জন্য ধারাবাহিক সম্মেলনটি অনলাইনে আয়োজন করা হয়। অনলাইন সম্মেলনে ৮টি সেশনে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে যোগদান করে। এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন সামিট-২০২১’ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন এর সম্পাদক মো ইব্রাহীম হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ মাহমুদ।