আসন্ন বইমেলা নির্বিঘ্ন করতে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বইমেলায় অতিরিক্ত একটি প্রবেশ পথ থাকছে। যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা-সহ বইমেলা কেন্দ্রিক কোনো ধরনের নাশকতা ও প্রকাশকদের ওপর হামলার হুমকি নেই।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বইমেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী ডিএমপি কন্ট্রোল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) কৃষ্ণ পদ রায়।
তিনি বলেন, `এবারে বইমেলায় প্রধানত তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পোশাকধারী পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।’
‘‘এছাড়া, সিসিটিভি, আর্চওয়ে থাকবে, গোয়েন্দা সংস্থা ও ডিবির টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবেন। আমাদের মোবাইল পেট্রোল থাকবে, ফুট পেট্রোল টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে।’’
এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ‘বইমেলায় কোনো ধরনের নাশকতা ও প্রকাশকদের ওপর হামলার হুমকি নেই। তবে বিষয়টা আমাদের মাথায় রয়েছে। অতীতের ঘটনা মাথায় রেখেই আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। মানুষের অনুভূতিতে আঘাত দেয় এমন বই প্রকাশ হচ্ছে কিনা আমরা খোঁজ রাখছি। কেউ অপরাধমূলক কাজ করছে কিনা সে ব্যাপারেও আমরা নজরদারি করছি। এমন কোনো তথ্য পেলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
‘‘আমরা একটি ভিন্ন সময়ে বইমেলা শুরু করছি। করোনার পরিস্থিতি মাথায় রেখে প্রতি বছরেরর মতো এবারো নিছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার একটি অতিরিক্ত প্রবেশ পথ যুক্ত করেছি যেটি ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট অথবা শিখা চিরন্তন গেট দিয়ে প্রবেশ করা যাবে।’’
ডিএমপির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। যারা বই মেলায় আসবেন শুধুমাত্র তারাই ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝখানের পথ পথচারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিশেষ কোনো পরিস্থিতি ছাড়া এ পথে গাড়ি প্রবেশ করবে না।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সবাইকে মেলায় আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা মেলায় আসবেন তারা অবশ্যই মাস্ক পড়ে আসবেন। হাত ধোয়া কিংবা স্যানিটাইজ করার জন্য গেটে ব্যবস্থা থাকবে।
আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি উদ্বোধন করবেন এবারের বইমেলার।