চট্টগ্রাম থেকে: পাকিস্তানের দুই পেসার ভিন্ন ভিন্ন ইনিংসে নিয়েছেন ৫টি করে উইকেট। সেখানে বাংলাদেশের দুই পেসারের পুরো ম্যাচে শিকার মাত্র দুটি। আবু জায়েদ রাহি ক্যারিয়ারে প্রথমবার দুই ইনিংসে ছিলেন উইকেটহীন। প্রথম ইনিংসে দুই উইকেট নেন ইবাদত হোসেন।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েও শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। হেরেছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। টপঅর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হকের কণ্ঠে পেসারদের নিয়ে ঝরল হতাশা।
‘এরকম উইকেট সমর্থন করি। পুরোপুরি ফ্লাট ছিল। ব্যাটসম্যানদের জন্য সহায়ক ছিল। পেস বোলারদের জন্য কঠিন ছিল। আমার কাছে মনে হয় ফ্লাট উইকেটে কীভাবে বল করতে হয় জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া কোচরা আছেন, উনারা হয়ত ভালো বলতে পারবেন। বিদেশে বল করা একরকম, দেশে আরেকরকম।’
‘আমার মনে হয় বেশি বেশি চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত। ভারতে দেখবেন তারা প্রচুর ম্যাচ খেলে। আমাদের পেসারদেরও সুযোগ পেলে চার দিনের ম্যাচ খেলা উচিত এবং ফ্লাট উইকেটে বল করাটা শিখতে হবে।’
চোট কাটিয়ে ফেরা রাহি চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২ ওভার বল করে দেন ৪১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও থাকেন নির্বিষ। ৪ ওভার বল করে দেন ২৩ রান। উইকেট নেয়ার মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেননি।
আরেক পেসার ইবাদত হোসেন সাফল্য পেয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ২৬ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে পুরনো বলে নিয়েছেন ২টি উইকেট। পরের ইনিংসে ৮ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। পাননি উইকেট।