রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বছরের পর বছর পারফর্ম করে চললেও জাতীয় দলে ব্রাত্যই থাকছেন করিম বেনজেমা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও ফ্রান্সের জার্সিতে অভিযান শেষ, ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যের পর তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন বেনজেমা। চ্যালেঞ্জ প্রমাণে অন্যকোনো দেশের হয়ে খেলার অনুমতিও চেয়েছেন তিনি।
জাতীয় দলের সতীর্থ ম্যাথু ভালবুয়েনার সঙ্গে ‘সেক্স টেপ’ স্ক্যান্ডালে জড়িয়ে দল থেকে বাড় পড়েন বেনজেমা। যার ফলে ২০১৫ সাল থেকে দলের বাইরে তিনি। ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নোয়েলঁ লে গ্রেঁ রোববার আবারও জানিয়ে দিয়েছেন, ফরাসি দলে জায়গা নেই বেনজেমার।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একের পর এক ম্যাচে পারফর্ম করে যাচ্ছেন তিনি। আগের মৌসুমে ৩০ গোলের ল্যান্ডমার্ক ছাড়ানোর পর চলতি মৌসুমেও এরইমধ্যে করে ফেলেছেন ১১ গোল।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ক্লাব ছাড়ার পর রিয়ালের ফরোয়ার্ডে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন বেনজেমা। এরমধ্যেই খবর বের হয়, আবার জাতীয় দলে ফিরতে পারেন তিনি। তবে এমন খবর উড়িয়ে দেন লে গ্রেঁ।
আরএমসি স্পোর্টসকে ফ্রান্স ফুটবলের প্রধান বলেছেন, ‘আমার কাছে বেনজেমা খুব ভালো খেলোয়াড়। তার কোয়ালিটি নিয়ে আমি কখনো সমালোচনা করিনি। এই বছর আবারও মাদ্রিদে প্রমাণ করছেন যে, তার পজিশনের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি। তবে ফ্রান্সের সঙ্গে তার অ্যাডভেঞ্চার শেষ।’
লে গ্রেঁ’র এমন মন্তব্য মোটেও সহজভাবে নেননি জাতীয় দলের হয়ে ৮১টি ম্যাচ খেলা বেনজেমা। আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত এ ফরোয়ার্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন। লিখেছেন, ‘নোয়েল, আমি ভেবেছিলাম যে আপনি জাতীয় দলের কোচের কোনো সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেন না। এটা জেনে রাখুন যে, আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার সময় আমি এবং একমাত্র আমিই সিদ্ধান্ত নেব।’
এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন বেনজেমা, ‘আপনি যদি ভাবেন আমি শেষ হয়ে গেছি, তবে আমাকে এমন একটি দেশের হয়ে খেলতে দিন যেদেশের হয়ে আমি খেলার যোগ্য। তাহলেই দেখতে পাবেন।’
ফ্রান্সের জার্সি গায়ে ২৭টি গোল করেছেন বেনজেমা। তবে তিনি মনে করেন, চার বছরের বেশি সময় দলের বাইরে না থাকলে সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হতে পারত। যদিও তাকে ছাড়াই ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে শিরোপা জিতেছে ফ্রান্স।