যতদিন ক্রিকেট বেঁচে থাকবে, ততদিন বাংলাদেশের কাছে ‘খলনায়ক’ হয়েই থাকবেন শ্রীনিবাসন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের সেই ম্যাচের পর বিসিবির সঙ্গে তার অনেক ঝামেলা হয়েছে। এরপর নিজদেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকেও হয়েছেন বিতাড়িত। কিন্তু পরিস্থিতি বলছে আবার ভূমিকায় ফেরার পায়তারা করছেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিসিসিআইয়ের রোববারের সাধারণ সভায় কয়েকজন বোর্ড পরিচালক তার নাম উত্থাপন করেছেন।
আইসিসির সভাগুলোতে বোর্ডের প্রতিনিধি হয়ে কে থাকবেন, এই বিষয়ে কারও নাম চূড়ান্ত হওয়ার কথা সাধারণ সভায়। শোনা যাচ্ছে, এই ভূমিকায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি শ্রীনিবাসন ফিরে আসতে পারেন। তিনি ইতিমধ্যে দেশটির রাজধানীতে পৌঁছেও গেছেন।
গতবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে আইসিসির সভাপতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী মুস্তফা কামালের। কিন্তু সেদিন তা দেন তার অধস্তন কর্মকর্তা আইসিসির চেয়ারম্যান এন শ্রীনিবাসন! এ নিয়ে বয়ে যায় তুমুল আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। পরে দেশে ফিরে মুস্তফা কামাল পদত্যাগ করেন। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ধুয়ে দেন শ্রীনিবাসনকে। ওই ঘটনার পর বিশ্বক্রিকেটে বেশ বিপাকে পড়েন শ্রীনি।
এরপর ভারতীয় ক্রিকেট থেকে বিতাড়িত হন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ম্যাচ পাতানো কাণ্ড নিয়ে। তার মেয়ের জামাই গুরুনাথ মায়াপ্পনের বিরুদ্ধে বাজি ধরা ও বাজিকরদের কাছে তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়। তাই আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই শ্রীনিবাসনের সরে দাঁড়ানোটা প্রয়োজন বলে সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বলা হয়।
সুপ্রিম কোটের ওই বেঞ্চ ২০১৪ সালে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে ভারতীয় বোর্ডে (বিসিসিআই) আইপিএল সম্পর্কিত সব দায়িত্ব দিয়ে দেয় সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কারকে। আর সভাপতির অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন বিসিসিআইয়ের ৫ সহ-সভাপতির একজন শিবলাল যাদব। এরপর বিসিসিআই থেকেও সরিয়ে দেয়া হয় শ্রীনকে।