ফেডারেশন কাপের ফাইনালে ছিল দুই আবাহনীর ডার্বি! তাতে জয় পেয়েছে ঢাকা আবাহনী। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম শিরোপা ঘরে তুলেছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
এবার টানা দ্বিতীয় ফেডারেশন কাপ শিরোপা ঘরে তুলল দ্রাগো মামিচের শিষ্যরা। সঙ্গে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের সমান ১০টি ফেডারেশন কাপের মালিক হল ধানমন্ডির ক্লাবটি।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমার্ধেই দুই গোল করে লাগাম টেনে নেয় ঢাকা আবাহনী। বিরতির পর আরেকটি গোল করে টাইটেল নিশ্চিত করে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দারুণ কিছু আক্রমণ শানায় আবাহনী। ৩ মিনিটেই গোল পেতে পারতো মামিচের শিষ্যরা। সোহেল রানার নিচু শট কোনরকমে ঠেকিয়েছেন বন্দরনগরীর দলটির গোলরক্ষক মোহাম্মদ নেহাল। দুই মিনিট পর এমেকা ডার্লিংটনের মাথা ছোঁয়া বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে আবারও হতাশ ডোবে আবাহনী।
আক্রমণের ধারা বজায় রাখার ফল হাতেনাতে পেয়েছে ঢাকা আবাহনী। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে আসে প্রথম সাফল্য। প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতর থেকে জোরাল শট নিয়েছিলেন নাবীব নেওয়াজ জীবন। সেটি চট্টগ্রাম আবাহনীর কৃষ্ণ পদের গায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়িয়ে গেলে উল্লাসে মাতে চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় আসে অনাকাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। ফ্লাড লাইট বিড়ম্বনায় খেলা বন্ধ থাকে ১০ মিনিট। পরে ম্যাচ শুরু হওয়া মাত্রই ঢাকার জায়ান্টদের দ্বিতীয় গোলের স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন ইমন বাবু। তার দুর্দান্ত ভলি এসময় জাল খুঁজে নিলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেই বিরতিতে যায় আবাহনী।
মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই আবারো চট্টগ্রামের জালকে ঠিকানা বানায় ঢাকার দলটি। এবারের গোলদাতা এমেকা ডার্লিংটন। ওয়ালী ফয়সালের পাসে বল পেয়ে এমেকা গোল করলে শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায় মামিচের দলের।
অবশ্য তিন গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে গেছে বন্দরনগরীর আবাহনী। মামুনুল-শাখাওয়াত-রনিদের নিয়েও গড়া আক্রমণ সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৮১ মিনিটে জীবন বক্সের মধ্যে এলিসনকে ফাউল করেন। তা থেকে নেয়া শটে এলিসন একটি গোল ফিরিয়ে দিলেও হার এড়াতে পারেনি প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠা চট্টগ্রামের দলটি।
ম্যাচসেরার পুরষ্কার উঠেছে ঢাকা আবাহনীর নাবীব নেওয়াজ জীবনের হাতে। সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন একই দলের এমেকা ডার্লিংটন।