বিশ্ব নারী দিবসে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে একটি খবর ফলাও করে প্রচার করা হয়। বান্ধবীকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো এক ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার মাঠে ফিরে আসছেন, এই খবর চারদিকে রটে যায়।
এই প্রজন্মের কাছে ব্রুনো নামের ওই ফুটবলার অতটা পরিচিত না হলেও ব্রাজিলে একসময় রীতিমতো সুপারস্টার তকমা পেয়েছিলেন। সাত বছর জেল খেটে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
২০১০ সালে ব্রুনো ফ্লেমেঙ্গোর নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক ছিলেন। রিও ডি জেনিরোতে তার ভালো পরিচিতি রয়েছে। এমনকি তৎকালীন সময়ে বার্সেলোনাও তাকে পেতে চেয়েছিল।
২০০৮ সালে এলিজা সামুডিও নামের এক মডেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্রুনো। এক বছর সব ঠিকই ছিল। হঠাৎ ব্রুনো অভিযোগ তোলেন এলিজা রিও’র নতুন এক তারকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছেন। তিনি এও দাবি করেন, তার সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অবস্থায় ওই তারকার সন্তান গর্ভে ধারণ করেন এলিজা।
সন্তান কার? এই বিবাদ ওই সময় আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বিচারক এলিজাকে নির্দেশ দেন তার অনাগত সন্তানের পিতৃপরিচয় প্রকাশ করতে।
এক মাস পরে ব্রুনো সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটান। বান্ধবীকে কেটে কুকুরের খাবার বানান। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগ আনে।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্রুনো খালাসের রায় হাতে পান। মুক্তি পেয়েছেন নারী দিবসের দিন। প্রথম অপরাধ বিবেচনায় সাত বছরের জেলের সঙ্গে বিচার শেষ করার তিন বছর মেয়াদ আমলে নিয়ে বিচারক তাকে খালাস দেন।
কিন্তু ব্রাজিলের সমাজকর্মীরা এই রায়কে ভালো চোখে দেখছেন না। তাদের অভিযোগ, ব্রুনোর এই ঘটনা ব্রাজিলিয়ান সমাজে তৎকালীন সময়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। এরপর এই রায়ের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে ‘ভুল বার্তা’ পৌঁছে যাবে।