বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় খেলা কোনটি? সংখ্যার বিবেচনায় ফুটবল এই মূহুর্তে পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় খেলা, এমনটিই সবাই বলবেন। কিন্তু ক্রীড়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের ধারণা অচিরেই পৃথিবীর সব থেকে জনপ্রিয় খেলা ফুটবলের স্থান দখল করবে ইস্পোর্টস।
স্পোর্টস খাতকে ঘিরে পৃথিবীতে মোট যে বাণিজ্য হয়, তা ছাড়িয়ে উপরে যাবে ইন্টারন্টে স্পোর্টস। ইতোমধ্যে পেশা হিসেবে এই ধরনের খেলা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তমহাদেশীয় ম্যাচ। যা অনলাইনে দেখছেন কোটির উপরে দর্শক।
দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রাভিস ‘কাস্টঅ্যাওয়ে’ ওয়াটার্স এই ধরনের একজন পেশাদার অনলাইন ভিডিও গেমার। অনলাইনে খেলার বিনিময়ে তিনি ঈর্ষনীয় পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। তাকে নিয়ে একটি ভিডিও প্রতিবেদন তৈরী করেছে বিবিসির ভিডিও জার্নালিস্ট ক্রিস্টিয়ান পার্কিংসন।
সেখানে নিজের ব্যক্তিগত জীবন, বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, গেমিং টাইম, উপার্জন, গেমিং পার্টনার এবং ইস্পোর্টস নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাভিস।
ভিডিওতে দেখা যায় ট্রাভিস সকাল নয়টায় তার ব্যক্তিগত দিনের শুরু করছেন নিজের সকালের নাস্তা তৈরী করে। একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে খেলবেন তিনি যা অনলাইনে কোটির উপরে দর্শক উপভোগ করবেন। সকালের নাস্তা হিসেবে তিনি প্রায়ই চা অথবা চিল তৈরী করে থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাণকেন্দ্রে সুইমিংপুল, পার্টি স্পেসসহ নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে আলাদা করে গেমিংয়ের জন্য রুম রেখেছেন তিনি। যেখানে খেলা হয় ‘হোয়াইট র্যাবিট গেমিং হাউজ’ গেম। এই খেলাটি খুবই সুসংগঠিত একটি খেলা যা অনলাইনে বেশ জনপ্রিয়।
নাস্তা সেরে স্বভাবত তিনি ভিডিও উপভোগ করেন। এরপর যতোদ্রুত সম্ভব গেম খেলতে বসে যান। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে তার সঙ্গে এসে যোগ দেন তার গেমিং পার্টনার ওয়েসলে। তাদের সঙ্গে একজন টেকনিশিয়ানও থাকেন যিনি তাদেরকে আইটি জটিলতার সমাধান দেন।
নিজের এই পেশা সম্পর্কে ট্রাভিস বলেন, ‘আপনি যা ভালোবেসে করবেন, নিঃসন্দেহে আপনি তা উপভোগ করবেন। আর অনলাইন গেমিংয়ে আপনি বিশ্বের সুন্দর জায়গাগুলো ঘুরতে পারবেন, বেশ মজার মজার ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে পরিচিত হবেন। একদিন এই খেলা বর্তমানের জনপ্রিয় ফুটবল খেলাকে ছাড়িয়ে যাবে।’
তবে এই পেশার জটিল দিকগুলো নিয়েও কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবেই এটি এতোটা সহজ নয়, এজন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হবে, অনেক বন্ধুত্বও ত্যাগ করতে হবে। এসবের মানে হচ্ছে, আপনাকে প্রচুর সময় দিতে হবে।’
খেলা শেষ হলে বন্ধু ওয়েসলের সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলেন ট্রাভিস। তারপর সুইমিং পুলে সাতার কাটেন। ঘোরাঘুরি করেন। অবসর সময় কাটান। নিজের জীবনকে উপভোগ করেন। জীবনকে উপভোগ করার জন্য যে অর্থ দরকার হয়, তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণে আয় করতে পারেন তিনি। গেম খেলে মিলিয়ন ডলার আয় করেন এমন মানুষও রয়েছেন বলে জানান তিনি।
এটি বলা হচ্ছে যে ২০২০ সালের মধ্যে এই ইস্পোর্টস ১.৩২ বিলিয়ন ডলারের বাজার সৃষ্টি করবে।