ফেসবুক আইডি ফিশিং লিংকের মাধ্যমে হ্যাক করতেন মো. কাউছার আহমেদ। হ্যাক করা আইডির টাইমলাইনে ও ইনবক্সে অশ্লীল ছবি, ভিডিও দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আইডির মূল মালিকের কাছে টাকা দাবি করতেন। কাউছার নিজেকে আত্মগোপনে রাখতে দশটিরও বেশি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
বুধবার রাতে কুমিল্লার কোডবাড়ি এলাকা থেকে মো. কাউছার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগ।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার কোডবাড়ির একটি হোস্টেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে ২ টি মোবাইল ফোন, নগদ ৫ লাখ টাকা এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রায় ৭৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের(ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং টিমের এডিসি নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত ১০ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের করা এক নারীর মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৪/২৯/৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
মামলার তদন্তে জানা যায়, বাদি ও বেশ কিছু সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্থরা ইতোমধ্যে হ্যাকারকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণ করতে বাধ্য হয়। মোবাইল ব্যাংকিং, হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, স্ক্রিল এবং জিমেইল কোম্পানি এবং প্রযুক্তির সাহায্যে হ্যাকারকে শনাক্ত করে আটক করা হয়। আসামির ব্যবহৃত স্মার্টফোনে অত্র মামলার বাদীর ফেসবুক আইডিসহ দুই শতাধিক আইডি পাওয়া যায়।
এডিসি নাজমুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে ফিশিং লিংকের মাধ্যমে ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এবং কৌশলে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে আইডি ফেরৎ দেয়ার কথা বলে কিছু বিকাশ পার্সোনাল/এজেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারীদের নিকট টাকা পাঠানোর কথা বলতেন।