তিনি নিজেকে সেই শিল্পী মনে করেন যে ধারাবাহিক ঈর্ষার শিকার। তার মতে, আমাদের ফিল্মের নির্মাতাদের মত ভার নিয়ে কোন দেশের নির্মাতারা কাজ করেননা। এখানে সব কিছু প্রায় নির্মাতার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। ফিল্মের কালচার বা পলিসি কোনোটাই আমাদের নেই। বিপরীত চিন্তার কন্টেন্ট এখানে এলাউ করা হয়না বললেই চলে। তার মধ্যে থেকেও কেউ আলাদা করে ভাবতে চান, আলাদা করে বলতে চান। সেসব মানুষদের জন্য ভীষণ শ্রদ্ধা রয়েছে তার।
‘চাকা’ অভিনেতা বা ‘বাথান’ খ্যাত নির্মাতা-অভিনেতা আশীষ খন্দকারের অভিনীত ‘কালের পুতুল’ মুক্তি পাচ্ছে ৩০ মার্চ শুক্রবার। ‘কালের পুতুল’ চলচ্চিত্রের প্রচারণায় চ্যানেল আইয়ে এসেছিলেন তিনি। পরে চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে ‘কালের পুতুল’ এবং নিজের আগামীর নির্মাণ-অভিনয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয়।
স্টেট বিশ্বদ্যিালয়ের ‘আর্ট এন্ড প্রেজেন্টেশন’ বিভাগের শিক্ষক আশীষ খন্দকার বলেন, শুটিংয়ের একিদিন আগের রাত ৩টার সময় এ সিনেমায় কাজের প্রস্তাব পাই আমি। পরিচালক গালিব সেই জায়গা থেকে আমাকে ভাবতে পেরেছে হয়ত। আমার কাছে প্রথম দেখার বিষয় ছিল এটি আগাথা ক্রিস্টির গল্প, দ্বিতীয়ত গালিব। তাই কাজটি করতে সম্মত হয়েছি। ’ আশীষ খন্দকার বলেন, ‘মোরশেদুল ইসলামের চাকা ছবিতে কাজ করতে গিয়ে গালিবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা। তারও আগে এনএসডিতে (ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা) আমার অভিনয় দেখতে এসেছিল গালিব। ব্যারিজনের নির্দেশনায় দ্য কিং স্টেক বা শাহী ঘোড়া নামে একটি কাজ করেছিলাম আমি।’
বান্দরবানের ১৬ দিন দারুন একটি টিমের সঙ্গে কেটেছে উল্লেখ করে আশীষ খন্দকার বলেন, ‘১১ জনের টিমটি ছিল দারুন রুচিশীল মানুষদের সমন্বয়ে, তাই দারুন কেটেছে। ভয়াবহ ঝড় বৃষ্টি স্বত্বেও।’
অভিনয় এবং নিজের নির্মাণ সম্পর্কে আরো তথ্য জানান যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে ‘দ্য ডেভিল বিহাইন্ড দ্য ডোর’ বা ‘তার কোন নাম নেই’ নির্মাতা আশীষ খন্দকার। জানান, অং রাখাইনের নির্মাণে দ্য লাস্ট পোস্ট অফিস’-এ কাজ শেষ করছি। যার পাস্টের কাজ চলছে। অন্যদিকে তিনিটি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য চিত্রনাট্য সম্পন্ন আছে। চলচ্চিত্র তিনটির নাম হল ‘ব্রডব্যান্ড’, ‘ব্ল্যাকবেরি’ এব! ‘জয়াগ’। যে কোন একটির কাজ এ বছর শুরু করবেন বলে জানান তিনি।
নাসিফুল ওয়ালিদের চিত্রনাট্যে ‘কালের পুতুল’ ছবিতে একজন কাঠমিস্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আশীষ খন্দকার। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাইসুল ইসলাম আসাদ, নায়ক ফেরদৌস, শাহেদ আলী, বীথি রাণী সরকার, লুৎফর রহমান র্জজ, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, আশিষ খন্দকার, ঋতু সাত্তার, আরিফ অর্ক,জান্নাতুন নূর মুন। ছবির সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে ছিলেন সৈয়দ কাশেফ শাহবাজী।
সংগীত পরিচালনায় আছেন সানী জোবায়ের এবং সম্পাদনা করেছেন সামির আহমেদ।
ছবি : জাকির সবুজ