ছেলেদের মতো মেয়েদের জাতীয় দলেও দুশ্চিন্তার নাম ফিল্ডিং। মেয়েদের বাংলাদেশ দলে ভারতীয় কোচিংস্টাফ যুক্ত হওয়ার পর দুর্বলতা আগের চেয়ে কিছুটা কমলেও সাফল্য পেতে এই বিভাগে আরও উন্নতির জায়গা দেখেন হেড কোচ অঞ্জু জৈন।
শুক্রবার মিরপুরের একাডেমি মাঠে সালমা-জাহানারাদের ফিল্ডিং অনুশীলন করাতে নামার আগে চ্যানেল আই অনলাইনকে তিনি বললেন, ‘গত বছর মেয়েদের ফিটনেসে উন্নতির দিকে জোর দিয়েছিলাম আমরা। এখন ওদের ফিটনেস আগের তুলনায় অনেক ভালো। অনেক ফিট ওরা। এবছর আমরা ফিল্ডিংয়ে আরও উন্নতির ব্যাপারটি সামনে আনছি। যেন এমন পর্যায়ে যায়, যাতে ম্যাচে পার্থক্য গড়তে পারে। ফিল্ডিংয়ে কারোর চেয়ে পিছিয়ে থাকলে ম্যাচের ফলাফলে খুব প্রভাব ফেলে।’
গত বছর হেড কোচ হিসেবে যোগ দিয়েই টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ নারী দলকে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অঞ্জু। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই সাফল্য এনে দেয়া এ ভারতীয় কোচ পরে দেখান আরও বড় চমক। তার অধীনে রুমানা-সালমারা ঘরে আনে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট। ছেলেদের আগে মেয়েরা এশিয়া কাপ জেতায় হৈ-চৈ পড়ে যায় দেশে। বড় হয়ে ওঠে স্বপ্নের উঠোন।
ম্যাচ জেতা অভ্যাসে পরিণত করা দলটিই কিনা গত বছরের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে কোনো ম্যাচ না জিতেই ফেরে দেশে। তারপর আর আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ।
ধারাবাহিক উন্নতির স্রোতধারা থেকে বিশ্বকাপে হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশ দল কোন অবস্থায় আছে সেটি পরখ হয়নি গত ৯ মাসে। অবশ্য বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের হয়ে গত মাসে সাউথ আফ্রিকা সফর করেছেন জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন। সেখানে পারফরম্যান্স মন্দ হয়নি। জিতেছে ওয়ানডে সিরিজ, হেরেছে টি-টুয়েন্টি সিরিজে। কোচ, ম্যানেজমেন্ট খুশি নিগার সুলতানার দলে পারফরম্যান্সে।
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের হেড কোচ হয়ে একবছর পূর্ণ করা অঞ্জুর সামনে শুরুর মতোই আরও একটি টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব। দলকে মূল আসরে নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ সামনে।
‘গত বছর প্রমাণ করেছি আমরা জিততে পারি। এবছর আমাদের লক্ষ্য যতবেশি ম্যাচ জেতা যায়। যার শুরুটা হচ্ছে বাছাইপর্ব দিয়ে। প্রথম লক্ষ্য, বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন। সত্যি বলতে এটাও হতাশার যে আমাদের আবার বাছাইপর্ব খেলতে হচ্ছে। দল যত খেলবে তত উন্নতি করবে। খেলার মধ্যে থাকাও একটা বড় বিষয়।’
গত বছর নিজেদের রেকর্ডসংখ্যক টি-টুয়েন্টি ম্যাচ জিতলেও বিশ্বকাপে চার ম্যাচেই হারের ফলে র্যাঙ্কিংয়ে আগাতে পারেনি বাংলাদেশ।
প্রথম আট দল সরাসরি অংশ নিতে পারে বিশ্বকাপে। শ্রীলঙ্কার অল্প পেছনে থেকে সালমা খাতুনের দল আছে ৯ নম্বর স্থানে। আরেকটু ভালো করতে পারলে কিংবা বিশ্বকাপের পর কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে বাড়তে পারত রেটিং পয়েন্ট। অষ্টম দল হিসেবে সরাসরি ২০২০ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাওয়া লঙ্কানদের সঙ্গে টিম টাইগ্রেসের পয়েন্টের ব্যবধান ১৪।